পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) তার ৩৫ বছরের যাত্রা সম্পন্ন করেছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবন-১ এ ‘পিকেএসএফ দিবস ২০২৫’ উদযাপন করা হয়।
পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের।
সভাপতির বক্তব্যে জাকির আহমেদ খান বলেন, গত সাড়ে তিন দশকে পিকেএসএফ কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। পিকেএসএফকে বাংলাদেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য ‘অনুপ্রেরণার বাতিঘর’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি নতুন চাহিদা মোকাবেলায় তার কৌশলগত পরিকল্পনা ২০২৫-২০৩০ প্রণয়ন করেছে। এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হলো শোভন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ঝুঁকি হ্রাস এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি। তিনি মাঠ পর্যায়ে এই কৌশলগত পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য সকল পিকেএসএফ কর্মকর্তাকে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশ সরকার, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী, সহযোগী সংস্থা, তৃণমূলের সদস্য এবং পিকেএসএফের সকল অংশীজনকে ধন্যবাদ জানান।
স্বাগত বক্তব্যে পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ সরকার সম্পূর্ণ দেশীয় ধারণা এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরামর্শ বিবেচনায় নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করে। গত ৩৫ বছরে পিকেএসএফ পুঁজি, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত এবং বিপণন সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে টেকসই দারিদ্র্য বিমোচনে বিভিন্ন কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে।
তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাংকের মতে, আমরা বিশ্বের বৃহত্তম ক্ষুদ্র উদ্যোগ-অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান। গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড এবং অ্যাডাপ্টেশন ফান্ড আমাদের জাতীয় বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা আমাদের কার্যকারিতা, স্বচ্ছতা এবং সুশাসনের প্রমাণ। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে আমাদের একটি সম্মানিত খ্যাতি রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এ বছর আমাদের কৌশলগত পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। আমরা আশা করি, ২০৩০ সালে এই পরিকল্পনার সফল সমাপ্তির পর আমরা আরও বড় আকারে এই বার্ষিকী উদযাপন করব।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কিউ এম গোলাম মওলা, মো. মশিয়ার রহমান, মো. হাসান খালেদ এবং আকন্দ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
বর্তমানে পিকেএসএফ ২০০টিরও বেশি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে সারা দেশে ২ কোটিরও বেশি নিম্ন-আয়ের পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক ও অ-আর্থিক সেবা প্রদান করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে পিকেএসএফ তার সেবা ২ কোটি ৫০ লাখ পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
