জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদি আমিন ও বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং চলচ্চিত্র অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, শিল্পী, সাংস্কৃতিক কর্মী এবং জাসাসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। গান, কবিতা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়।
চলচ্চিত্র অভিনেতা হেলাল খান অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। জাসাস নেতা জাকির হোসেন রকনসহ অন্যান্য আয়োজকরা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। বক্তারা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার নেতৃত্ব ও জাতীয় অবদানের কথা স্মরণ করেন।
ভার্চুয়াল বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। জাতির সংকটময় মুহূর্তে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনে নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শুরু করেছিলেন।”
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় ঐক্য আরও সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথি ড. মাহদি আমিন ও আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল বলেন, “জিয়াউর রহমান দেশের কঠিন সময়ের হাল ধরেছিলেন। তার নেতৃত্বে রাজনৈতিক সংস্কার ও জনগণের অংশগ্রহণের ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়।” তারা বেগম খালেদা জিয়ার গণতন্ত্র রক্ষার দীর্ঘ সংগ্রাম ও নেতৃত্বের কথাও তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, ৭ নভেম্বরের চেতনা হচ্ছে দেশপ্রেম ও ঐক্যের প্রতীক। তারা আসন্ন নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
