বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরবর্তী ২০২৭ থেকে ২০২৯ চক্রে দুই স্তরের বদলে একক বিভাগই বজায় রাখার সুপারিশ গ্রহণ করেছে আইসিসি, ফলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এলিটদের সঙ্গেই টেস্ট চক্রে লড়াই চালিয়ে যাবে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক এবং হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট।
দুবাইয়ে সদস্য দেশগুলোর সাম্প্রতিক আলোচনায় সাবেক নিউজিল্যান্ড ব্যাটার রজার টুইসের নেতৃত্বাধীন আইসিসির ওয়ার্কিং গ্রুপ ১২ ফুল মেম্বারের জন্য এক বিভাগেই ডব্লিউটিসি চালিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করে। এর আগে আলোচনায় দুই স্তরের কাঠামোর প্রস্তাব ছিল, যেখানে র্যাঙ্কিং বিবেচনায় বাংলাদেশকে নিচের স্তরে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল।
দ্য ডেইলি সানকে পাইলট বলেন, স্বাভাবিকভাবেই এটি আইসিসির ভালো সিদ্ধান্ত, কারণ দুই স্তরের টেস্ট হলে ফরম্যাটের সামগ্রিক বিকাশে বড় প্রভাব পড়ত। তার মতে, উন্নয়নশীল টেস্ট দলগুলোর জন্য বড় দলের বিপক্ষে নিয়মিত খেলা টেকসই উন্নতির জন্য অপরিহার্য। তিনি যোগ করেন, বড় দলের বিপক্ষে ভালো করলে আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়ে, তেমনি জাতীয় দলে জায়গা ধরে রাখতে খেলোয়াড়রা বেশি প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামেন।
বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টেস্টে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে স্মরণীয় জয় তুলে নিয়ে ধারাবাহিক উন্নতির বার্তা দিয়েছে। মূল স্রোতে থেকে শীর্ষ দলের বিপক্ষে নিয়মিত সিরিজ পাওয়াকে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন পাইলট।
একক বিভাগীয় কাঠামোয় আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডও ফুল মেম্বার হিসেবে সূচিতে থাকবে, যার ফলে সব টেস্ট দেশই নিয়মিত ম্যাচ পাবে। তবে প্রতিটি দলের ম্যাচসংখ্যা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আয়ারল্যান্ডের কোচ হাইনরিখ মালানও সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, যত বেশি খেলতে পারব, ততই উন্নতি করব, এটি নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ হলেও আমরা প্রস্তুত।
আইসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অন্তর্ভুক্তিমূলক কাঠামো বজায় রেখে পরবর্তী চক্রের সূচি প্রণয়ন করা হবে। সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর ম্যাচসংখ্যা ও সিরিজ কাঠামো চূড়ান্ত করা হবে।
