ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে “জাতীয় প্রতিরোধ” গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে দেশের চারটি শীর্ষ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ। দলটির বিরুদ্ধে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে তারা।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) সহ-সভাপতিদের (ভিপি) স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে ছাত্র সংসদগুলো সতর্ক করে বলেছে, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটলেও নিষিদ্ধ ঘোষিত গোষ্ঠীগুলো আবারও “গভীর ষড়যন্ত্রে” লিপ্ত হয়েছে।
এতে অভিযোগ করা হয়, জাতীয় স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ এবং ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “প্রায় দুই হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে” অর্জিত বিজয়কে রক্ষা করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই শূন্য-সহনশীলতা নীতি গ্রহণ করতে হবে।
ছাত্র সংসদগুলো অপরাধীদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে দাবি করে, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য দেশজুড়ে গোপন হামলা অব্যাহত রয়েছে।
তারা অবিলম্বে নিয়মিত টহল জোরদার, দেশব্যাপী চিরুনি অভিযান পরিচালনা, চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এবং জুলাই গণহত্যার বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির দাবি জানায়।
তারা শত্রুর ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্য এবং গণসচেতনতা তৈরিরও আহ্বান জানায়।
ছাত্র সংসদগুলো আরও বলেছে, দেশের কোথাও নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো সদস্যকে চিহ্নিত করা হলে স্থানীয়ভাবে তাদের প্রতিহত করে অবিলম্বে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে হবে। তারা “গণহত্যাকারী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর” বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে দেশের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
