এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ এ মঙ্গলবার চ্যালেঞ্জিং এক দিন কাটালেও বাংলাদেশের জন্য বড় স্বস্তির খবর ১৬ বছর বয়সী কুলসুম আখতার মনি। ঠাকুরগাঁওয়ের এই তীরন্দাজ মহিলা কম্পাউন্ড ব্যক্তিগত ইভেন্টে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে উঠেছেন।
প্রথম রাউন্ডে বাই পাওয়ার পর তিনি ইরানের ফাতেমেহ বাঘেরিকে ১৪৫-১৪৩, ভারতের দীপশিখাকে ১৪২-১৪০ এবং কাজাখস্তানের রোকসানা ইউনুসোভাকে ১৪৬-১৪৪ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেন। সেমিফাইনালে তার প্রতিপক্ষ ভারতের প্রাদিপ প্রিথিকা।
শান্ত ও আত্মবিশ্বাসী কুলসুম বলেন, সবাই বাদ পড়লেও আমার কোনো চাপ নেই। আমি এই পতাকার জন্য খেলি, দেশের জন্য খেলি, তাই মনে শান্তি থাকে। দশম শ্রেণির ছাত্রী কুলসুম ২০২৩ সালে প্রায় অপ্রত্যাশিতভাবেই আর্চারি শুরু করেন।
তার ভাষায়, তিনি তখন রিকার্ভ আর কম্পাউন্ডের পার্থক্যও জানতেন না। কোচের পরামর্শে কম্পাউন্ডে নামেন, শুরুতে স্কোর ভালো না হলেও ধীরে ধীরে উন্নতি করেন। দুই বছরেরও কম সময়ে তিনি ন্যাশনাল জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতেন এবং বাহরাইন, সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন।
দিনটি তবে দলের বাকিদের জন্য প্রত্যাশামতো যায়নি। মেনস রিকার্ভে রাকিব মিয়া ও আব্দুর রহমান আলিফের যাত্রা থামে শেষ ষোলোতে। সাগর ইসলাম ও রামকৃষ্ণ সাহা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও বিদায় নেন। নারী রিকার্ভ ও নারী কম্পাউন্ড ইভেন্টেও বাংলাদেশের বাকিরা প্রাথমিক রাউন্ডেই থেমে যান।
সামগ্রিকভাবে ফল না মিললেও কুলসুমের উন্নতি ও ধারাবাহিকতা দলের জন্য বড় আশার বার্তা। আগামী ম্যাচে তিনি এই ছন্দ ধরে রাখতে পারলে পদকের লড়াইয়ে বাংলাদেশের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতে পারে।
