ঢাকা, ২৯ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে কক্সবাজার, পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং সমুদ্র উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে এবং তা আরও গভীর হতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, নোয়াখালীর হাতিয়ার সঙ্গে সারাদেশের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কক্সবাজার থেকে আমাদের প্রতিবেদক আজিম নিহাদ জানান, গত রাত থেকে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়েছে। সমুদ্র সৈকতে লাল পতাকা উড়িয়ে সতর্কতা জারি করেছে জেলা প্রশাসন ও লাইফগার্ড কর্মীরা। পাহাড়ি এলাকায় ধসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
জেলা প্রশাসনের একটি জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ও জলবদ্ধতা প্রবণ এলাকাগুলোতে বিশেষ নজরদারি থাকবে এবং স্বেচ্ছাসেবক দল প্রস্তুত থাকবে।
পটুয়াখালী থেকে প্রতিবেদক এম কে রানা জানান, গত তিনদিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পর কলাপাড়া উপজেলায় গত রাত থেকে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পটুয়াখালী জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আমাবস্যার প্রভাবে নদনদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে, ফলে উপকূলীয় এলাকার মানুষদের মধ্যে বেড়েছে আতঙ্ক।
বিশেষ করে ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধ এলাকায় যেকোনো সময় পানির প্রবেশে ঘরবাড়ি ও গবাদি পশুর ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ দিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের সংখ্যা প্রায় শূন্য। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কেউ সমুদ্র দর্শনে যেতে পারছেন না।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনেও বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।