বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে বাংলাদেশ একটি “ব্যর্থ রাষ্ট্রে” পরিণত হবে।
মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের একটি স্কুল মাঠে আয়োজিত এক জনসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, নয় মাস ধরে অর্জিত রাজনৈতিক ঐকমত্যের বাইরে গিয়ে সরকার যদি কোনো পদক্ষেপ নেয় এবং তা “সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেয়,” তবে তার সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।
এর আগে এদিন সকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটিও একই ধরনের বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, ঐকমত্যের বাইরে সরকারের নেওয়া কোনো পদক্ষেপের দায়ভার দল নেবে না। এক সংবাদ সম্মেলনে দলের হাইকমান্ড নির্বাচন বিলম্বিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর উত্থাপিত “বিতর্কিত দাবি” মোকাবেলায় সরকারকে “সতর্কতার সাথে কাজ করার” আহ্বান জানায়।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, জামায়াতে ইসলামী বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং নির্বাচন বিলম্বিত করার উদ্দেশ্যে জাতীয় নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির দাবি করছে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ এমনকি তার মতো সিনিয়র রাজনীতিবিদরাও পিআর পদ্ধতি বোঝেন না, কিন্তু জামায়াত ও অন্যরা এই বিভ্রান্তিকর ব্যবস্থাটি দেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
ফখরুল অভিযোগ করেন, জামায়াত জানে যে বর্তমান ব্যবস্থায় সময়মতো নির্বাচন হলে তারা রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে “বিলীন” হয়ে যাবে।
তিনি গত বছরের আলোচিত দল এনসিপিকেও পিআর পদ্ধতির দাবিতে জামায়াতের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য সমালোচনা করেন। প্রবীণ এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, গ্রামীণ এলাকায় এনসিপির কোনো উপস্থিতি নেই এবং একারণেই তারা জামায়াতের সঙ্গে জোট বাঁধছে।
মির্জা ফখরুল দেশবাসীকে জামায়াতে ইসলামীর “ভণ্ডামিপূর্ণ কর্মকাণ্ডের” বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াত ভোট জেতার জন্য “বেহেশতের টিকিট দেওয়ার” প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে এবং ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা করছে। তিনি বলেন, সর্বশক্তিমান আল্লাহ ও তার রাসুল ছাড়া আর কেউই বেহেশতের পথ নিশ্চিত করতে পারে না। ধর্মের ভুল ব্যাখ্যার বিরুদ্ধে তিনি সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
