রমজান মাসে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে নিত্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার জারি করা এক সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ব্যাংকগুলো গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তিতে নিত্যপণ্যের জন্য আমদানি ঋণপত্র এলসি খুলতে পারবে।
একই সঙ্গে এসব আমদানিতে আমদানিকারকের কাছ থেকে আমদানি মূল্যের বিপরীতে ন্যূনতম মার্জিন বা অগ্রিম গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
সার্কুলার অনুযায়ী যে পণ্যগুলো শিথিলতার আওতায় রয়েছে সেগুলো হলো চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ছোলা, বিভিন্ন মসলা এবং খেজুর। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকগুলো স্বাভাবিক ডিউ ডিলিজেন্স অনুসরণ করে এবং প্রযোজ্য বৈদেশিক মুদ্রা ও আমদানি বিধি মেনে এলসি ইস্যু ও নিষ্পত্তি করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভাষ্যে, রমজানকে সামনে রেখে বাজারে পর্যাপ্ত মজুত ও সরবরাহ বজায় রাখা এবং পণ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করাই এ উদ্যোগের লক্ষ্য। ব্যাংকগুলোকে দ্রুত সময়ের মধ্যে এলসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব নথিপত্র যাচাই ও বিধিসম্মত প্রক্রিয়া অনুসরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা কার্যকরের মেয়াদ শেষে প্রয়োজন বিবেচনায় পরবর্তী পদক্ষেপ জানানো হবে।
বাণিজ্য ও আমদানিকারক মহল মনে করছে, এই শিথিলতা সরবরাহ চেইনকে স্বস্তি দেবে এবং রমজান-পূর্ব সময়ে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করতে পারে। তবে তারা একই সঙ্গে সময়মতো জাহাজীকরণ, ক্লিয়ারেন্স ও ডিস্ট্রিবিউশন পরিকল্পনা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন।
