চীন ও ভারত বিশ্বব্যাপী জ্বালানি রূপান্তরের খরচ কমিয়ে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন জলবায়ু আলোচনার বিশেষজ্ঞ লাগো। উভয় দেশ এই রূপান্তরকে স্পষ্টভাবে গ্রহণ করেছে বলে তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জলবায়ু আলোচনায় চীনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে লাগো বলেন, “অসাধারণভাবে। চীন যে উপাদানগুলো অনুপস্থিত ছিল, তা যোগ করেছে। একটি স্কেল, অন্যটি প্রযুক্তি এবং তৃতীয়টি হলো উন্নয়নশীল দেশের জন্য সাশ্রয়ী সমাধান।
ইভি, সোলার প্যানেল, উইন্ড, ব্যাটারিতে চীনের গুরুত্ব বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হলো, তাদের স্কেলের কারণে এই অত্যাবশ্যক উপাদানগুলোর দাম কমিয়ে তারা আন্তর্জাতিক সহযোগিতার অসাধারণ কাজ করছে। সোলার প্যানেলের দাম কয়েক বছর আগের চেয়ে ৯০ শতাংশ কমেছে। এখন উন্নয়নশীল বিশ্বের আরও অনেকে এটি কিনতে পারে।”
“কোনোভাবে অনেক দেশে এই কাজ করতে কম সম্পদ লাগছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অন্যান্য কাজ করা যাচ্ছে। চীনের অবদান সত্যিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ তাদের উন্নত প্রযুক্তি আছে এবং স্কেল শুধু ভারতের সঙ্গে তুলনীয়,” যোগ করেন লাগো।
তিনি বলেন, “ভারতও একই পথে হাঁটছে। তাদের উজ্জ্বল কোম্পানি, ইঞ্জিনিয়ার ও অসাধারণ মানুষ আছে। তারা একই দিকে যাচ্ছে। দুটি বড় বাজার এই রূপান্তরের দাম কমিয়ে দেবে কারণ উভয় দেশ এটি স্পষ্টভাবে গ্রহণ করেছে।”
এদিন সকালে লাগো গণমাধ্যমকে বলেন, ধনী দেশগুলো জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় উৎসাহ হারিয়েছে। চীন পরিচ্ছন্ন জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহারে এগিয়ে যাচ্ছে।
হিন্দুস্তান টাইমস সোমবার জানায়, পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, সবচেয়ে বড় গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারী চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্ট শূন্যস্থান পূরণ করতে চায়। সবুজ রূপান্তরে তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থও রয়েছে।
সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক প্রগ্রেসের ফেলো পূজা বিজয় রামামূর্তি বলেন, “চলতি বছর এপ্রিলে সিওপি ইভেন্ট—লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেট অ্যান্ড জাস্ট ট্রানজিশনসে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিশ্ব জলবায়ু লক্ষ্যে চীনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি উচ্চমানের সবুজ পণ্যের মুক্ত চলাচলের প্রতিবন্ধকতার সমালোচনা করেন।”
চীন বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্ম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাতে পারে। দেশগুলোকে গঠনমূলক জলবায়ু আলোচনায় উৎসাহিত করতে পারে। নিচু প্রোফাইল না রেখে চীন নিজেকে সবুজ রূপান্তরের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উপস্থাপন করবে। অন্য বড় শক্তি যেমন যুক্তরাষ্ট্র পিছু হটছে, বলেন তিনি।
চীন ও ভারতের এই ভূমিকা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
সূত্র: এএনআই, হিন্দুস্তান টাইমস
