বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ইতিহাসের এক বিশেষ মুহূর্তের সামনে দাঁড়িয়ে। দেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম আইরল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান দুই টেস্টের সিরিজে পা রাখতে চলেছেন ক্যারিয়ারের শততম টেস্টে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টটি হবে তাঁর ৯৯তম, আর পরের ম্যাচটি ১০০তম হলে সেটিই হবে কোনো বাংলাদেশির প্রথম শততম টেস্ট।
সোমবার সিলেটে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত। ইনশাআল্লাহ কাল তাঁর ৯৯তম টেস্ট হবে। ড্রেসিং রুমে তাঁকে পাওয়া সবসময়ই আনন্দের। টেস্ট ক্রিকেটে আমরা সবসময় অভিজ্ঞতাকে অগ্রাধিকার দিই। মুশফিক ভাইয়ের দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা কঠিন সময়ে আমাদের অনেক সাহায্য করে। কীভাবে চাপ সামলাতে হয়, তা নিয়ে আমরা তাঁর সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করি।
২০০৫ সালে লন্ডনের লর্ডস মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল মুশফিকের। দুই দশকের পথচলায় তিনি হয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। এই ফরম্যাটে তাঁর রান ৬ হাজার ৩২৮, গড় ৩৮। দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটারদের একজন হিসেবে তিনি বারবার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ভূমিকা রেখেছেন।
শান্ত বলেন, আমরা সবাই চাই এই দুই ম্যাচকে উপলক্ষ করে উদযাপন করতে। বিশেষ করে তিনি যদি ১০০তম টেস্টটি ভালোভাবে খেলতে পারেন, তাহলে পাঁচ দিনই আমরা একসঙ্গে উদযাপন করব এবং সিরিজটা দারুণভাবে উপভোগ করব। আমি আশাবাদী তিনি সুস্থ থেকে দুই ম্যাচই খেলবেন, ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ দল প্রথম টেস্ট সামনে রেখে ব্যাটিং টেম্পারামেন্ট, লম্বা ইনিংস গড়া ও সেশন কন্ট্রোলে জোর দিচ্ছে। আইরল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের কন্ডিশনে স্পিনারদের ভূমিকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ব্যাটিং অর্ডারের শুরুর দিকের দৃঢ়তাও সিরিজের ফল নির্ধারণে বড় ফ্যাক্টর হতে পারে।
মুশফিকের মাইলফলক স্পর্শের অপেক্ষায় থাকলেও দলীয় লক্ষ্য স্পষ্ট, সিরিজ জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান মজবুত করা।
