ঢাকা, ২৯ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : রাজনীতির প্রচারণা বলতে আমরা বুঝি পোস্টার, টেলিভিশন বিজ্ঞাপন, দরজায় দরজায় গিয়ে প্রচারণা কিংবা রাজনৈতিক বিতর্ক। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় এই প্রথাগত ধরন একেবারে ভেঙে দিলেন মাত্র ২১ বছর বয়সী এক তরুণী, শার্লট ওয়াকার। Minecraft, মেকআপ টিউটোরিয়াল আর লাইভস্ট্রিমে নীতিমালা ব্যাখ্যা করে তরুণ ভোটারদের মন জয় করেছেন তিনি। ফলাফল, তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ার কনিষ্ঠ সিনেটরদের একজন।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ছোট্ট একটি শহরে জন্ম নেওয়া শার্লট ওয়াকার অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির প্রার্থী ছিলেন এবং স্থানীয় পর্যায়ে তেমন পরিচিত মুখ ছিলেন না। তবে ভোট গণনার শেষে তিনি সাউথ অস্ট্রেলিয়ার ছয়টি সিনেট আসনের একটিতে জয়ী হন।
অন্যদের মত টেলিভিশন বিজ্ঞাপন কিংবা ক্লাসিক প্রচারণা ছাড়াই তিনি লাইভস্ট্রিমে Minecraft খেলতে খেলতে নীতিমালা বোঝান, যেমন গৃহনীতির বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যা করতে একটি ভার্চুয়াল শহর তৈরি করেন। আবার কখনও মেকআপ করতে করতে তরুণদের জন্য নীতিমালা আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘এখনকার পার্লামেন্ট সদস্যদের অনেকেই জানেন না ২১ বছর বয়সীদের অভিজ্ঞতা কেমন। কিন্তু আমি জানি, কারণ আমি এখন এই বয়সেই আছি।’
শার্লটের নির্বাচনি কৌশল নতুন ভোটার, বিশেষ করে প্রথমবারের ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পায়। তার মত একজন তরুণ তরুণীর পার্লামেন্টে থাকা তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে বলে অনেকেই মনে করেন।
শার্লট আগে অস্ট্রেলিয়ান সার্ভিসেস ইউনিয়নে কাজ করতেন। নির্বাচিত হওয়ার পর এখন তিনি ক্যানবেরায় যাচ্ছেন, যেখানে সিনেট সদস্য হিসেবে তার মেয়াদ ছয় বছর এবং বেতন দুই লাখ ডলারেরও বেশি।
আগামী জুলাইয়ে তাকে একটি “সিনেট স্কুলে” অংশ নিতে হবে, যা নবনির্বাচিত আইনপ্রণেতাদের জন্য প্রশিক্ষণ কোর্স। তবে শার্লটের নজর ভবিষ্যতের দিকে। তিনি চান, তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে নারীরা রাজনীতিতে এগিয়ে আসুক এবং বুঝুক তারা ক্ষমতায় যেতে পারে।
Minecraft সার্ভার থেকে সিনেট ফ্লোর পর্যন্ত শার্লট ওয়াকারের যাত্রা প্রমাণ করে, রাজনীতির জগতে নতুন পথ তৈরি করা সম্ভব। সত্যিকারের আন্তরিকতা ও উদ্ভাবনী চিন্তাই ভবিষ্যতের নেতৃত্বকে রূপ দিতে পারে।
