দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সোমবার সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলা দায়ের করা হয়।
এর আগে একটি অভিযোগের তদন্ত করে দুদক বেনজির আহমেদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারির সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দেয়। দুদকের নির্দেশের পর বেনজির আহমেদ তার আইনজীবীর মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট ৬.৪৫ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য জমা দেন।
তদন্তে তার নামে ৭.৫২ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে। দুদক দেখতে পায়, বেনজির আহমেদ তার সম্পদ বিবরণীতে ১.৮৫ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ গোপন করেছেন। এর মধ্যে তার অপ্রাপ্তবয়স্ক কন্যা জাহরা জারিন বিনতে বেনজিরের নামে সম্পদও রয়েছে। এটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ধারা লঙ্ঘন।
এছাড়া তদন্তে বেনজিরের নামে ৮.১২ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়। অভিযুক্ত বেনজির আহমেদের নামে ৭.৫২ কোটি টাকার অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ, তার নামে ৮.১৫ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ এবং অভিযুক্ত বেনজির আহমেদের নামে ১৫.৬৮ কোটি টাকার অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
এই সম্পদ অর্জনের বিপরীতে বেনজির আহমেদের নামে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৬.৫৯ কোটি টাকা। ওই সময়ে তার খরচ হয় ১.৯৫ কোটি টাকা। খরচ বাদে তার নামে নিট সঞ্চয় ৪.৬৩ কোটি টাকা।
দুদকের এই চার্জশিট সাবেক আইজিপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে আরও শক্তিশালী করেছে। মামলার পরবর্তী প্রক্রিয়া আদালতে গড়াবে। এ ঘটনা দুর্নীতি দমনে কমিশনের কঠোর অবস্থানের প্রতিফলন।
