প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, দেশবাসী, বিশেষ করে যুব সমাজ আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে। এই নির্বাচন দেশের ইতিহাসে মাইলফলক হবে।
রোববার নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় সিইসি এ কথা বলেন। তিনি জানান, পুরো বিশ্বও এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে।
প্রথমবার ভোট দেবে—এমন যুবকদের উৎসাহ আমাদের জন্য খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। আপনার ভোট আপনার শক্তি। ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করুন।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রবাসীদের প্রথমবারের মতো ন্যায্যভাবে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে কমিশন আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সবার সহযোগিতায় এ উদ্যোগ সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাসুদ বলেন, নির্বাচনকালে একটি মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে পারে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। কোনো খবর অন্ধভাবে বিশ্বাস না করে বিভ্রান্ত না হওয়া সবার দায়িত্ব। তথ্য যাচাই করতে হবে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে অথবা সরাসরি নির্বাচন কমিশন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সব প্রার্থী ও ব্যক্তিকে আচরণবিধি এবং সব নিয়মকানুন কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান।
নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমেদ বলেন, পুরুষ ও নারীর সংখ্যা প্রায় সমান। ভোট হতে হবে লিঙ্গবান্ধব। কারো ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারো নেই। বিশেষ করে নারীরা যাতে সঠিকভাবে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য কমিশন কাজ করছে।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ভোট একটি সমন্বয়ের বিষয়, যাতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। জাতিকে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা করছে। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে।
