ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তানজিন আহমেদ আবিদ (৩০) নামে এক ছাত্রদল কর্মী নিহত এবং অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। রবিবার বিকেলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত তানজিন আহমেদ আবিদকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিএনপির সম্ভাব্য মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসেনের সমর্থক গোষ্ঠী দাবি করেছে, তানজিন তাদের কর্মী ছিলেন এবং প্রতিপক্ষের হামলায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
তবে, হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিক উদ্দিন জানান, নিহতের শরীরে কোনো শারীরিক আঘাতের চিহ্ন ছিল না এবং হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার “স্বাভাবিক মৃত্যু” হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ইসলামও দাবি করেন, তানজিন সংঘর্ষের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কোনো দৃশ্যমান আঘাত পাওয়ার আগেই তার মৃত্যু হতে পারে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আসন্ন ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৩ আসনের জন্য বিএনপির হাইকমান্ড কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসেনকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেছে।
এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন মনোনয়নপ্রত্যাশী আরেক নেতা ও গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তায়েবুর রহমান হিরণ। খসড়া মনোনয়ন তালিকা ঘোষণার পর থেকেই হিরণ তার নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে রেল অবরোধ, সড়ক অবরোধ এবং অগ্নিসংযোগের মতো কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসেন গৌরীপুর সরকারি কলেজ হোস্টেল মাঠে একটি সমাবেশের আয়োজন করেন। একই সময়ে গৌরীপুর মধ্য বাজারে সমাবেশ করার পরিকল্পনা করেন হিরণ। দুটি গ্রুপ তাদের নিজ নিজ সমাবেশস্থলের দিকে যাওয়ার সময় মুখোমুখি হলে ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে হিরণের পক্ষের ৪০ জন এবং ইকবাল হোসেনের পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন বলে উভয় পক্ষই দাবি করেছে।
