যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ান মালিকানাধীন ফিলি শিপইয়ার্ডে বর্তমানে পারমাণবিকচালিত সাবমেরিন তৈরির সক্ষমতা নেই বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী কিম মিন-সক।
বৃহস্পতিবার সংসদীয় শুনানিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তার বক্তব্য আসে এমন সময়ে যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছিলেন, তিনি দক্ষিণ কোরিয়াকে পারমাণবিকচালিত সাবমেরিন তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন এবং এটি ফিলাডেলফিয়ার শিপইয়ার্ডে নির্মিত হবে।
ট্রাম্পের এই পোস্টটি আসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং-এর সঙ্গে এক শীর্ষ বৈঠকের পর। ওই বৈঠকে লি যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেন, দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রচলিত অস্ত্রে সজ্জিত পারমাণবিক সাবমেরিনের জ্বালানি ব্যবহারের অনুমতি দিতে।
প্রধানমন্ত্রী কিম বলেন, “আমার জানা অনুযায়ী, বর্তমানে ফিলি শিপইয়ার্ডের সে সক্ষমতা নেই।”
এর আগের দিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন গিউ-ব্যাক সংসদীয় শুনানিতে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজ নির্মাণ দক্ষতা বিবেচনায় দেশে সাবমেরিন তৈরি করাই যৌক্তিক। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।
বিশ্বের শীর্ষ জাহাজ নির্মাতা দেশগুলোর একটি দক্ষিণ কোরিয়া। হানহোয়া ওশানসহ দেশটির বেশ কয়েকটি কোম্পানি এই খাতে বিশ্বে অগ্রগণ্য। হানহোয়া ওশান এবং তাদের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান ফিলি শিপইয়ার্ডের মালিকানা ধরে রেখেছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হানহোয়া ওশান।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ মঙ্গলবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে পররাষ্ট্র দফতর ও জ্বালানি দফতরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট চান মিত্র দেশগুলো শক্তিশালী হোক।”
