চট্টগ্রাম-৮ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একই সঙ্গে এ ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, এরশাদ উল্লাহ সরাসরি হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না, বরং একটি বিপথগামী গুলি লেগে তিনি আহত হয়েছেন। সরকার তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছে এবং এ ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
সরকার এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থী ও নাগরিকের নিরাপত্তা এবং অধিকার রক্ষায় তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস হামলাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এতে বলা হয়, “আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে সহিংসতা এবং ভীতি প্রদর্শনের কোনো স্থান নেই। সিএমপি ইতোমধ্যে হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব রাজনৈতিক দল ও তাদের সমর্থকদের শান্ত থাকার, সংযম প্রদর্শনের এবং আসন্ন সাধারণ নির্বাচন যাতে শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায্যতার পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে শেষে বলা হয়, “সরকার অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
