পিঠের নিচের অংশের চোটে মাঠের বাইরে থাকা অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স সীমিত রান-আপে বোলিংয়ে ফিরেছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে দলে ফেরার লক্ষ্যস্থির করেছেন তিনি। ব্রিসবেনে আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে দিবা-রাত্রির এই টেস্ট।
জুলাই মাস থেকে চোটে ভুগছেন এই তারকা পেসার। পার্থে সিরিজের প্রথম টেস্ট থেকে তিনি আগেই ছিটকে গেছেন। তার অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেবেন স্টিভ স্মিথ।
প্রথম টেস্টে ৩২ বছর বয়সী কামিন্সের জায়গায় পেস আক্রমণে স্কট বোলান্ডকে দেখা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কামিন্স জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ পর গ্যাবার গোলাপি বল হাতে তুলে নেওয়ার জন্য তিনি সঠিক পথেই এগোচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সিডনিতে সাংবাদিকদের কামিন্স বলেন, “দ্বিতীয় টেস্টই আমাদের লক্ষ্য এবং সেই অনুযায়ী আমরা পরিকল্পনা তৈরি করছি। সত্যি বলতে, ম্যাচের কাছাকাছি না আসা পর্যন্ত আপনি কোথায় আছেন তা পুরোপুরি বোঝা যায় না। ভালো দিক হলো, আমি ভালোভাবে সেরে উঠছি এবং শরীর দারুণ অবস্থায় আছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দ্বিতীয় টেস্টকে একটি সম্ভাব্য সুযোগ হিসেবে ধরে রাখছি। আমি পার্থে ভালোভাবে বোলিং করব এবং তখনই বুঝতে পারব আমি কোন অবস্থায় আছি।”
২০১৭-১৮ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম অ্যাশেজ টেস্ট খেলার পর থেকে অস্ট্রেলিয়া দলের নিয়মিত সদস্য কামিন্স। তবে এবারের সিরিজে তিনি কতগুলো ম্যাচ খেলতে পারবেন তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে।
কামিন্স বলেন, “আমি এখনই কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না। আমি যতটা সম্ভব খেলতে আগ্রহী। তবে বাস্তবিকভাবে, যদি আমরা একটি বড় ম্যাচে ৪০ বা ৫০ ওভার বল করি এবং কয়েকদিন পরেই আরেকটি ম্যাচ থাকে, তবে সেটা কঠিন হতে পারে।”
উল্লেখ্য, অ্যাডিলেডে তৃতীয় টেস্ট এবং মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্টের মধ্যে মাত্র চার দিনের বিরতি রয়েছে। এরপর সিডনিতে পঞ্চম ও শেষ টেস্টের আগেও থাকবে চার দিনের বিরতি।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্টের জন্য বুধবার তাদের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। দলে পেস বোলিং বিকল্প হিসেবে রয়েছেন জশ হ্যাজেলউড, মিচেল স্টার্ক, স্কট বোলান্ড, শন অ্যাবট এবং ব্রেন্ডন ডগেট।
