আসন্ন ১৩তম জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৫ বছরেরও বেশি সময় পর নীলফামারী-২ আসনে ভোটের মাঠে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জামায়াতে ইসলামী। এ নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে।
রংপুর বিভাগের সর্ব উত্তরের জেলা নীলফামারীর চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে নীলফামারী-২ আসনটি ১,৮২১ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত। এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব এএইচএম সাইফুল্লাহ রুবেল। অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে অ্যাডভোকেট আল-ফারুক আব্দুল লতিফকে।
এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) এই আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই তিনটি দলের পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনের জন্য সক্রিয়ভাবে প্রস্তুতি শুরু করেছে। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কারও নাম সামনে আসেনি।
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, নীলফামারীর রাজনৈতিক অঙ্গন ততই প্রাণবন্ত ও মুখর হয়ে উঠছে। চায়ের দোকান, হাট-বাজার থেকে শুরু করে সামাজিক অনুষ্ঠান পর্যন্ত সর্বত্রই এখন আলোচনার মূল বিষয় আসন্ন নির্বাচন। প্রার্থীরা সভা, পথসভা এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো পোস্টার, ব্যানার এবং প্রচারণামূলক বার্তায় ভরে উঠেছে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মীর সেলিম ফারুক বলেন, “আসন্ন নির্বাচনের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। আমাদের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি।”
একই ধরনের আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যক্ষ মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম বলেন, “আমাদের প্রার্থীকে সফল করতে দলের নেতা-কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।”
এর আগে গত ৩ নভেম্বর বিএনপি ২৩৭টি আসনে তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে। এই ঘোষণার পর সারা দেশের সাধারণ ভোটারদের মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি ফিরে আসে এবং বিভিন্ন জেলায় বিএনপির তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে নতুন করে উৎসাহ দেখা যায়।
