ঢাকা, ২৯ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : পাকিস্তানের বিপক্ষে 1st T20 ম্যাচে তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁর ইনিংসটি একদিকে অ্যাংকরিং ব্যাটিং হিসেবে দেখা যেতে পারে, অন্যদিকে এটি তাঁর ব্যাটিং সীমাবদ্ধতার প্রতিফলনও হতে পারে।
তাওহীদ হৃদয়ের অফসাইডে শর্টের রেঞ্জ কম, বিশেষ করে অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলের বিপক্ষে কার্যকরভাবে খেলার ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়েছে। মিডউইকেট অঞ্চল ব্লক করে দিলে তাঁর ডট বলের সংখ্যা বেড়ে যায়। এছাড়া তিনি প্রায়শই মিড অন কিংবা লং অন অঞ্চলের বল ভুলভাবে মিডউইকেটে খেলতে গিয়ে আউট হন।
বিপিএলে তিনি বেশিরভাগ সময় টপ অর্ডারে খেলেছেন, যেখানে তাঁর সাফল্য ছিল সীমিত। অথচ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর পজিশন মিডল অর্ডারে, যা নিয়ে তাঁর নিজের অভ্যাসগত প্রস্তুতিও প্রশ্নবিদ্ধ।
ম্যাচটিতে লিটন দাস এবং হৃদয় যখন ব্যাটিং করছিলেন, তখন দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী অ্যাংকরিং ভূমিকা পালন করার কথা ছিল লিটনের, আর হৃদয়ের ওপর ছিল ডমিনেটিং ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব। তবে মাঠের বাস্তবতায় ব্যাপারটি উল্টো হয়।
অন্যদিকে, বোলিং ইউনিটের দিক থেকে পাকিস্তানের ব্যাটার শাদাব খানকে মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দলের পরিকল্পনাহীনতা চোখে পড়ার মতো। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৫ সালে শাদাব খান পেসারদের বিরুদ্ধে ১১ ইনিংসে ৯ বার আউট হয়েছেন, যেখানে তাঁর গড় মাত্র ১৫.৯। অন্যদিকে স্পিনারদের বিপক্ষে গড় ৪৫.৩ এবং স্ট্রাইক রেট ১৭০।
আরও পড়ুন:
তবুও ম্যাচে স্পিনারদের ব্যবহার করা হয়েছে বেশি, এবং পেসাররা যখন বল করেছেন, তারা যথাযথ লেংথে বল না করে সহজ বল দিয়েছেন। বিশেষ করে বাউন্সার ব্যবহার না করায় শাদাব সহজেই বাউন্ডারি তুলেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন ভুল পরিকল্পনার কারণেই ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে এবং শাদাব খানের ঝড়ো ইনিংসে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়।
পরিশেষে বলা যায়, পরিকল্পনার অভাব ও ব্যাটারদের ব্যাক্তিগত সীমাবদ্ধতা বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলছে। আগামী দিনে এসব দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার দিকে মনোযোগ না দিলে দলের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।