তুরস্ক আগামী সোমবার গাজা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি পরিকল্পনা আলোচনা করতে মুসলিম দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক আয়োজন করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।
শুক্রবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “ইস্তানবুলে বৈঠকে আমরা এখন পর্যন্ত অগ্রগতি মূল্যায়ন করব এবং পরবর্তী ধাপে একসঙ্গে কী অর্জন করা যায় তা আলোচনা করব।”
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈঠকে মিশর, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এসব দেশের মন্ত্রীরা গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।
ফিদান বলেন, “একটি ক্ষীণ আশার আলো দেখা দিয়েছে, যা সবার জন্য আশার প্রতীক।”
তিনি জানান, বৈঠকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আলোচনায় আসবে—“বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতা কী? কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে? পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? আমাদের পশ্চিমা অংশীদারদের সঙ্গে কী আলোচনা করা হবে? এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান আলোচনায় কী ধরনের সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে?”
ফিদান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে অভিযুক্ত করে বলেন, “তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অজুহাত খুঁজছেন এবং বিশ্বের চোখের সামনে গণহত্যা আবার শুরু করতে চান।”
তিনি জানান, তুরস্ক এক সপ্তাহ আগে ৮১ সদস্যের দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া দল গাজায় পাঠিয়েছে, তবে ইসরায়েলের অনুমতি না পাওয়ায় তারা এখনো সীমান্তে অপেক্ষা করছে।
তুরস্কের সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছে বলেও জানান তিনি।
তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সার বলেছেন, তুরস্কের “শত্রুতামূলক অবস্থানের” কারণে তাদের বাহিনীকে গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া “অযৌক্তিক” হবে।
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের মার্কিন বন্ধুদের জানিয়েছি, তুরস্কের সেনাদের গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।”
