সাম্প্রতিক সফরে দলের ব্যর্থতার পেছনে মূল ক্রিকেটারদের ধারাবাহিকতার অভাবকে বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। মঙ্গলবার দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে দলের ছন্দ হারানোর কারণগুলো তুলে ধরেন।
অধিনায়ক তরুণ পেসার মারুফা আক্তারের প্রশংসা করলেও ইনিংসের পরের দিকে তার ছন্দ ধরে রাখতে না পারার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জ্যোতি বলেন, “পাওয়ার প্লেতে সে বেশ ধারাবাহিক ছিল। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে সেই ছন্দটা ধরে রাখতে পারেনি। তার লাইন এবং লেংথ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল এবং রান না দেওয়ার চাপ বাড়ছিল। ফলে তাকে আক্রমণে ফিরিয়ে আনা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।”
ওপেনার রুবাইয়া হায়দার ঝিলিকের পারফরম্যান্স নিয়েও কথা বলেন জ্যোতি। টুর্নামেন্টে দারুণ শুরুর পর সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে না পারায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি। অধিনায়ক বলেন, “সে যেভাবে শুরু করেছিল, সেটা চালিয়ে যেতে পারেনি। পাওয়ার প্লেতে হয় আমরা খুব ধীরগতিতে খেলেছি অথবা অনেক বেশি উইকেট হারিয়েছি। এটা আমাদের অনেক ভুগিয়েছে।”
আরো পড়ুন: হারমানপ্রীতের সঙ্গে হ্যান্ডশেক জল্পনা নাকচ করলেন জ্যোতি, ইনজুরি সামলাতে স্বল্প বিরতি
দলের অন্যতম ভরসা অলরাউন্ডার স্বর্ণা আক্তারের কাছ থেকেও সেরাটা পাওয়া যায়নি বলে মনে করেন জ্যোতি। তিনি বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচটি ছাড়া স্বর্ণার কাছ থেকে আমরা তার স্বাভাবিক অবদান পাইনি। যদি সে ওই কঠিন ম্যাচগুলোতে জ্বলে উঠতে পারত, যেখানে আমরা ২০০ করতে পারিনি বা ২০০ থেকে ২৩০-এ পৌঁছাতে পারিনি, তাহলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত।”
নিজের পারফরম্যান্স নিয়েও অকপট ছিলেন অধিনায়ক। তিনি স্বীকার করে বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি ব্যাট হাতে পারফর্ম করতে পারিনি। আমার অফ-ফর্ম দলকে অনেক ভুগিয়েছে। টপ অর্ডার রান পেলে আমি সাধারণত ইনিংস বড় করার চেষ্টা করি, কিন্তু সেই সমর্থনটা দিতে পারিনি।”
তবে এসব হতাশার মাঝেও ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন জ্যোতি। তিনি আস্থা প্রকাশ করে বলেন, দলটি পুনরায় একত্রিত হয়ে ছন্দ ফিরে পাবে এবং আগামী সিরিজগুলোতে আরও শক্তিশালী হয়ে মাঠে নামবে।
