Tuesday, October 28, 2025
Homeখেলাধুলাক্রিকেটপিঠের চোটে প্রথম অ্যাশেজ টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন প্যাট কামিন্স

পিঠের চোটে প্রথম অ্যাশেজ টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন প্যাট কামিন্স

স্টিভ স্মিথ নেতৃত্ব দেবেন অস্ট্রেলিয়াকে, দ্বিতীয় টেস্টে ফেরার আশা কামিন্সের

অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স পিঠের চোটের কারণে আগামী মাসে পার্থে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম অ্যাশেজ টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কামিন্স “সময় শেষ করে ফেলেছেন” এবং পুরোপুরি সেরে না ওঠায় দলে ফিরতে পারছেন না।

ম্যাকডোনাল্ড জানান, স্টিভ স্মিথ প্রথম টেস্টে দলের নেতৃত্ব দেবেন।

তিনি বলেন, “আমরা কিছুদিন ধরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। এই ধরনের চোট দিন দিন নিরীক্ষণ করতে হয়। আমরা খুবই আশাবাদী যে সে দ্বিতীয় টেস্টে ফিরবে। এই সপ্তাহেই সে আবার বোলিং শুরু করবে, যা বড় একটি পদক্ষেপ।”

৩২ বছর বয়সী কামিন্স গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে পিঠের চোট পান এবং তখন থেকেই মাঠের বাইরে আছেন।

ম্যাকডোনাল্ড আরও বলেন, “অধিনায়ককে হারানো অবশ্যই কঠিন, তবে স্টিভ স্মিথের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় নেতৃত্বে থাকায় আমরা ভাগ্যবান। স্কট বোল্যান্ড সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে আছেন, যা খারাপ অবস্থান নয়।”

স্কট বোল্যান্ড, মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড—এই ত্রয়ীই পার্থে অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ সামলাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২১ নভেম্বর পার্থে।

কামিন্স বলেন, “আমি এখনও জিমে কাজ করছি এবং ফিট থাকার চেষ্টা করছি। এই ধরনের চোটে বিশ্রামই আসল চিকিৎসা। আমি অ্যাশেজে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী, তবে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।”

পিঠের সমস্যায় কামিন্স আগেও ভুগেছেন। ২০১৮ সালে এমন এক ইনজুরিতে তিনি পুরো অফসিজন খেলতে পারেননি।

অন্যদিকে, ইংল্যান্ড দল এবার অ্যাশেজে নামছে জফরা আর্চার, গাস অ্যাটকিনসন, জশ টাং, ব্রাইডন কার্স ও মার্ক উড–এর মতো পেসারদের নিয়ে।

সাবেক ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড সম্প্রতি বলেন, “এটা সম্ভবত গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল অস্ট্রেলিয়া দল, আর ২০১০ সালের পর এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী ইংল্যান্ড দল।”

তবে বাস্তবতা হলো, ইংল্যান্ডের অস্ট্রেলিয়ায় রেকর্ড এখনো ভয়াবহ। অস্ট্রেলিয়া ২০২৩ সালে ইংল্যান্ডে ২-২ ড্র করে অ্যাশেজ ধরে রাখে, আর ২০২১-২২ মৌসুমে ঘরের মাঠে ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতে।

সেই সিরিজে কামিন্স ছিলেন শীর্ষ বোলার, ২১ উইকেট নিয়েছিলেন গড়ে মাত্র ১৮ রানে। ইংল্যান্ড শেষবার অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জেতে ২০১০-১১ মৌসুমে।

RELATED NEWS

Latest News