চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় শনিবার দুপুরে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম আলমগীর (৫৫), ডাকনাম আলম। তিনি পূর্ব রাউজানের সিদ্দিক চৌধুরীর বাড়ির আবদুল ছত্তারের ছেলে।
আলমগীর বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে এবং তিনি স্থানীয়ভাবে ‘জানু আলম গ্রুপ’-এর দ্বিতীয় নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
তিনি পূর্বে অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৫টার দিকে পৌরসভার রশিদারপাড়া সড়কে আলমগীরকে আটক করে গুলি চালায় হামলাকারীরা। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, “খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে।”
এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার এক বিবৃতিতে আলমগীর হত্যার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “আলমগীর যুবদলের সক্রিয় নেতা ছিলেন। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ন্যক্কারজনক।”
৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে রাউজানে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১৭ জন কর্মী দলীয় কোন্দলে নিহত হয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবরও মাদুনাঘাট এলাকায় বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন।
এর আগে জুলাই মাসে গিয়াস কাদের ও গোলাম আকবরপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন। সেই ঘটনার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমিটি বিলুপ্ত করে এবং গিয়াস কাদেরকে সাময়িকভাবে স্থগিত করে।
