নতুন নির্মিত খুলনা জেলা কারাগারে বন্দিদের স্থানান্তর প্রক্রিয়া রোববার থেকে শুরু হচ্ছে। খুলনা জেলা কারাগারের জেল প্রহরী মু্নির হোসেন জানান, কোনো জটিলতা দেখা দিলে স্থানান্তর এক বা দুই দিন বিলম্বিত হতে পারে।
প্রথম ধাপে ১০০ বন্দিকে নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হবে। পরবর্তী পর্যায়ে বাকি বন্দিরাও স্থানান্তরিত হবেন। নতুন কারাগার কার্যক্রম শুরু করলেও পুরাতন কারাগার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
দীর্ঘমেয়াদে নতুন কারাগার খুলনায় কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে কাজ করবে, আর গাট এলাকার বিদ্যমান কারাগার মেট্রোপলিটন কারাগার হিসেবে পরিচালিত হবে। সরকার ইতিমধ্যে দুটি পৃথক কারাগার চালু রাখার নীতি অনুমোদন করেছে।
সরকারি গেজেট প্রকাশিত হলে প্রতিটি কারাগার নিজস্ব সুপারিন্টেনডেন্টের অধীনে স্বাধীনভাবে কার্যক্রম চালাবে। ততক্ষণ পর্যন্ত বর্তমান কর্মকর্তা দুই কারাগারের তত্ত্বাবধান সাময়িকভাবে দেখবেন।
জেল প্রহরী মু্নির হোসেন আশ্বাস দিয়েছেন, নতুন কারাগারের কার্যক্রম বন্দিদের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে না। তিনি আরও বলেন, “কিছু ছোটখাটো নির্মাণ কাজ, যেমন মাটি ভরার কাজ, এখনও চলমান এবং শীঘ্রই সম্পন্ন হবে।”
বর্তমানে খুলনা কারাগারে ১,৪০০-এর বেশি বন্দি অবস্থান করছে। নতুন কারাগরে স্থানান্তর হলে পুরাতন কারাগারের ভিড় কিছুটা হ্রাস পাবে।
