তিন মাসের বেশি বিরতির পর বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফিরছে নতুন উদ্যম ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে। দলটির শেষ আন্তর্জাতিক খেলা হয়েছিল জুলাই মাসে AFC নারী এশিয়ান কাপের যোগ্যতা পর্বে। এখন বাংলাদেশের রেড অ্যান্ড গ্রিন খেলোয়াড়রা থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থান করছে দুইটি ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে।
প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার বিকেল ৪টায় ব্যাংকক থনবুরি ইউনিভার্সিটি ফুটবল ট্রেনিং সেন্টারে। দ্বিতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২৭ অক্টোবর। উভয় ম্যাচই বাংলাদেশের জন্য আগামী বছরের AFC নারী এশিয়ান কাপের ফাইনাল রাউন্ডের প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
বৃহস্পতিবার সকালে দলটি ব্যাংককের রম সাই ফুটবল গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় অনুশীলন সেশন সম্পন্ন করে। হেড কোচ পিটার বাটলার ও সহকারী কোচরা ম্যাচ-ভিত্তিক এবং কৌশলগত অনুশীলন করিয়েছেন। খেলোয়াড়রা সংযত ও মনোযোগীভাবে অনুশীলনে অংশ নেন এবং তাদের গঠন ও আন্দোলন ফাইন-টিউন করেন।
গোলরক্ষক কোচ মাসুদ আহমাদ উজ্জল অনুশীলনের পরে বলেন, “আমরা এখানে অনুশীলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন করেছি। খেলোয়াড়রা কোচের নির্দেশ বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। আমরা কোচরা তাদের প্রযুক্তিগত ও কৌশলগত সহায়তা প্রদান করছি।’’
ফিফা মহিলা ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং অনুযায়ী, থাইল্যান্ড বর্তমানে ৫৭তম স্থানে অবস্থান করছে এবং বাংলাদেশ ১০৪তম। সর্বশেষ র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ২৪ ধাপ উন্নতি করেছে। এ উন্নতি দলের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়েছে যে তারা থাইল্যান্ডের সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম।
দুই দলের শেষ মিটিং হয়েছিল ২০১৩ সালে, তখন থাইল্যান্ড ৯–০ গোলে জয় লাভ করে। তবে বর্তমান বাংলাদেশ দল সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারা বেশি অভিজ্ঞ, সুগঠিত এবং মানসিকভাবে শক্তিশালী।
ম্যাচের আগে থাইল্যান্ডের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও দলের জন্য আশা বাড়িয়েছে। থাইল্যান্ড তাদের শেষ তিনটি ম্যাচ হেরেছে, যার মধ্যে মায়ানমারের বিরুদ্ধে ২–১ হেরেছে। বাংলাদেশ সম্প্রতি একই প্রতিপক্ষকে একই স্কোরে হারিয়েছে, যা বোঝায় যে ফারাক অনেক কমেছে।
কোচ বাটলার বলেছেন, “জয় বা পরাজয় নয়, মনোভাবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাই খেলোয়াড়রা লড়াই করার মনোভাব দেখাক।”
