Friday, October 24, 2025
Homeজাতীয়তামাক কোম্পানিগুলোর ভুয়া তথ্য প্রচারে সরকারের কর ও আইন সংস্কার ব্যাহত: বিশেষজ্ঞরা

তামাক কোম্পানিগুলোর ভুয়া তথ্য প্রচারে সরকারের কর ও আইন সংস্কার ব্যাহত: বিশেষজ্ঞরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মশালায় বলা হয়, তামাক কোম্পানিগুলো নীতিনির্ধারকদের বিভ্রান্ত করছে কাল্পনিক চোরাচালান তথ্য দিয়ে

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে তামাক কোম্পানিগুলো সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংস্কার ও কর বাড়ানোর প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত করতে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরো (বিইআর)-এ “Addressing Tobacco Industry Propaganda Against Law Reform and Tax Hikes” শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো কর বৃদ্ধির বিরোধিতা করতে চোরাচালান ও রাজস্ব ক্ষতির মিথ্যা দাবি করে নীতিনির্ধারকদের বিভ্রান্ত করছে।

কর্মশালাটি আয়োজন করে বিইআর ও বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিইআর প্রকল্প পরিচালক হামিদুল ইসলাম হিল্লোল। তিনি বলেন, “জাতীয় বাজেটের আগে তামাক কোম্পানিগুলো প্রায়ই সিগারেট চোরাচালানের ভুয়া প্রতিবেদন প্রচার করে কর বৃদ্ধির বিরুদ্ধে জনমত তৈরির জন্য। এসব প্রতিবেদনে নির্ভরযোগ্য তথ্য বা গ্রেপ্তারের প্রমাণ থাকে না।”

তিনি আরও বলেন, “বাস্তবে বাংলাদেশের সিগারেটের দাম প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। রাজস্ব আয় বরং ক্রমান্বয়ে বেড়েছে—২০০৮–০৯ অর্থবছরে যেখানে রাজস্ব ছিল ৫,১২২ কোটি টাকা, সেখানে ২০২২–২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১,০৭৭ কোটি টাকায়।”

প্যানেল বক্তা ও গবেষক সুশান্ত সিনহা, যিনি একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র সংবাদদাতা, বলেন, “বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দেখায় এবং সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করে। এভাবে তারা প্রতিবছর প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়।”

তিনি প্রস্তাব দেন বর্তমান বহুস্তরবিশিষ্ট অ্যাড ভ্যালোরেম কর কাঠামো বাদ দিয়ে নির্দিষ্ট কর পদ্ধতি প্রবর্তনের, যেখানে প্রতি সিগারেটের জন্য ১ টাকা নির্দিষ্ট কর আরোপ করা হলে দৈনিক রাজস্ব ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকরা তামাক আইন সংস্কার ও সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু সুপারিশ দেন।

RELATED NEWS

Latest News