চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোলে রাজস্ব আদায়ে ৩০০ কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বাণিজ্যিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের রপ্তানি পণ্যের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমেছে, বিশেষ করে ভোক্তা পণ্য, ইলেকট্রনিক্স, প্রসাধনী ও তৈরি পোশাক খাতে। একই সঙ্গে আমদানি পণ্যের দীর্ঘ যাচাই-বাছাই ও পরিদর্শন প্রক্রিয়া দৈনিক রাজস্ব আদায়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্র জানায়, জুলাই–সেপ্টেম্বর মেয়াদে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ১,৮৫০ কোটি টাকা, কিন্তু আদায় হয়েছে ১,৫৫০ কোটি টাকা, ফলে ঘাটতি দাঁড়ায় ৩০০ কোটি টাকা।
রাজস্ব ঘাটতির প্রভাব পড়েছে স্থানীয় অর্থনীতিতেও। পণ্য খালাস কমে যাওয়ায় বন্দর শ্রমিকদের কাজ কমে গেছে, পরিবহন ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, আর আমদানি–রপ্তানিকারকরা বাড়তি খরচ ও বিলম্বে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মোফিজুর রহমান স্বজন বলেন, “অবকাঠামোগত ঘাটতি, স্ক্যানার সংকট ও জটিল কাস্টমস প্রক্রিয়া ব্যবসায়ীদের জন্য বড় সমস্যা। প্রতিদিন আসা পণ্যের অর্ধেকও সময়মতো খালাস হয় না। এসব দীর্ঘদিনের সমস্যা, অথচ কর্তৃপক্ষ এখনো কার্যকর সমাধান দিতে পারেনি।”
সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রতিদিন ৮,০০০ থেকে ১০,০০০ ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করলেও সীমিত ইয়ার্ড ও ধীর খালাস প্রক্রিয়ার কারণে ট্রাকগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকে। এতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যায় এবং রাজস্ব আদায় বিলম্বিত হয়।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলেছে, চলতি মাসে কিছু সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তবে এর দৃশ্যমান ফল এখনো পাওয়া যায়নি।