ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (এইচএসআইএ) কার্গো জোনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রপ্তানিকারক ও আমদানিকারক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি ও শিথিল মানদণ্ডের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আজ (২০ অক্টোবর) রাজধানীর পান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্রেতারা ইতোমধ্যে এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন। এ ধরনের দুর্ঘটনা দেশের রপ্তানি খাতের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।”
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের মহাসচিব মো. জাকির হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত ৩২টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে। তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন শেষ হলে এই খাতে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, “দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এতে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের ঘটনা দেশের আন্তর্জাতিক সুনামকে ক্ষুণ্ন করে। রপ্তানিকারকরা বিদেশি ক্রেতাদের কাছে সময়মতো অর্ডার সরবরাহ করতে না পারলে আস্থা হারানোর ঝুঁকি তৈরি হয়।”
অন্যদিকে, বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শহরিয়ার বলেন, পোশাক সহায়ক খাতে ২৩ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে, এবং আরও প্রতিষ্ঠান ক্ষতির তালিকায় যুক্ত হচ্ছে।
রপ্তানিকারকদের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, পুরো ক্ষতির পরিমাণ এক বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই অগ্নিকাণ্ড শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, বরং বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা পুনরুদ্ধারেও সময় লাগবে। তারা দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আধুনিকায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।