ঢাকা, ২৮ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : দীর্ঘদিন পলাতক থাকা দেশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া ও রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় আলাদা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানে সঙ্গে থাকা আরও দুজন সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৪৬ ইন্ডিপেনডেন্ট ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের একটি বিশেষ ইউনিট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এই চারজনকে আটক করে। আটককৃতদের কাছ থেকে অস্ত্র, ম্যাগাজিন, অ্যামুনিশন ও স্যাটেলাইট ফোন জব্দ করা হয়েছে।
সুব্রত বাইন ৯০-এর দশকে মগবাজার এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির মাধ্যমে অপরাধ জগত তৈরি করেন। একই সময়ে মতিঝিল ও গোপীবাগ এলাকায় ত্রাস হিসেবে পরিচিত ছিলেন মোল্লা মাসুদ। ২০০১ সালের ২৫ ডিসেম্বর সরকারের প্রকাশিত ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকাতেও ছিল তাদের নাম। যদিও তৎকালীন সময়ে রেড অ্যালার্ট জারির পরেও তারা ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে।
পরবর্তীতে তাদের ধরতে সরকার পুরস্কার ঘোষণা করলেও দীর্ঘদিন তারা আত্মগোপনে ছিল। এবার সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিকল্পিত অভিযানে ধরা পড়লো এই দুই সন্ত্রাসী এবং তাদের সহযোগীরা।
আরও পড়ুন:
বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে লে. কর্নেল সামি উদ দৌল চৌধুরী জানায়, “জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত ও জনগণের জানমাল রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুত এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেনাপ্রধানের স্পষ্ট নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী তৎপর ভূমিকা পালন করছে।”
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি এবং নাশকতার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই অভিযান দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল রাখতে একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে।