Tuesday, October 14, 2025
Homeঅর্থ-বাণিজ্যসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক রেজাউল হকের পদত্যাগ

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক রেজাউল হকের পদত্যাগ

বাংলাদেশ ব্যাংকের একীভূতকরণ সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে বোর্ড থেকে সরে দাঁড়ালেন এসআইবিএল প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি (এসআইবিএল)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও স্পনসর পরিচালক মেজর (অব.) মো. রেজাউল হক বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে তীব্র আপত্তি জানিয়ে এই পদত্যাগপত্র জমা দেন, যেখানে এসআইবিএলসহ আরও চারটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংককে একত্র করে নতুন রাষ্ট্রায়ত্ত ইসলামিক ব্যাংক ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড গঠনের অনুমোদন দেয়। এই সিদ্ধান্তের তিন দিন পর রেজাউল হক রবিবার ব্যাংকের চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

রেজাউল হক, যিনি এসআইবিএলের পাঁচ সদস্যের বোর্ডের একমাত্র শেয়ারহোল্ডার-পরিচালক ছিলেন, পদত্যাগপত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ দেওয়া স্বতন্ত্র পরিচালকদের “অকার্যকর” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “ব্যাংক কোম্পানি আইনে স্বতন্ত্র পরিচালকদের কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ থাকার কথা নয়, কিন্তু বোর্ড পুরোপুরি তাদের নিয়েই গঠিত হয়। এক বছরেও তারা ব্যাংক পুনরুদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রকৃত উদ্যোক্তাদের সুযোগ দিলে পরিস্থিতি উন্নত হতো।”

তিনি আরও দাবি করেন, ২০১৭ সালে তাকে “অস্ত্রের মুখে” পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল।

রেজাউল হক অভিযোগ করেন, এস. আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর ব্যাংক “দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকৃত উদ্যোক্তাদের হাতে ব্যবস্থাপনা ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের সিদ্ধান্ত ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে।”

বাংলাদেশ ব্যাংক খুব শিগগিরই এই পাঁচটি ব্যাংকের বোর্ড ও ব্যবস্থাপনা ভেঙে দিয়ে একীভূতকরণ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। রেজাউল হকের পদত্যাগ সেই প্রক্রিয়া নিয়ে বোর্ডের ভেতর থেকে প্রথম প্রকাশ্য আপত্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

গত বছর আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক এসআইবিএলের পুরনো বোর্ড ভেঙে নতুন বোর্ড গঠন করেছিল, যেখানে এস আলম পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে দেওয়া হয়।

RELATED NEWS

Latest News