অধিনায়ক শুভমান গিলের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ার পর স্পিনারদের দাপটে দিল্লি টেস্টে চালকের আসনে ভারত। দ্বিতীয় দিন শেষে স্বাগতিকদের ৫ উইকেটে ৫১৮ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৪০ রান। এখনো ভারতের চেয়ে ৩৭৮ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারীরা।
শনিবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দিন শেষে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন শাই হোপ এবং ১৪ রানে ব্যাট করছিলেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান তেভিন ইমলাচ। ভারতের পক্ষে একাই ৩ উইকেট শিকার করেছেন বাঁহাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা।
এর আগে দিনের শুরুতে অধিনায়ক গিলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে মাত্র ২ রান যোগ করে ১৭৫ রানে রানআউট হন যশস্বী জয়সওয়াল। তবে এরপরই ব্যাট হাতে দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন গিল। তিনি অপরাজিত ১২৯ রানের এক ঝকঝকে ইনিংস খেলেন, যা এই বছরে আট টেস্টে তার পঞ্চম শতক।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে জাদেজা বলেন, “ভুল বোঝাবুঝি খেলারই অংশ। ভাগ্য ভালো যে আমরা এরপরও ভালো অবস্থানে আছি এবং বড় স্কোর গড়তে পেরেছি।” তিনি আরও যোগ করেন, “উইকেটে খুব বেশি স্পিন না থাকলেও” তৃতীয় দিনে তারা সফরকারীদের দ্রুত অলআউট করার চেষ্টা করবেন।
ভারতের বিশাল স্কোরের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার ট্যাগনারিন চন্দরপল (৩৪) এবং অ্যালিক আথানেজ (৪১) কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। ৬৬ রানের জুটি গড়ার পর জাদেজার বলে স্লিপে কেএল রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন চন্দরপল। এরপর দ্রুতই আথানেজকে ফেরান কুলদীপ যাদব এবং পরের ওভারেই জাদেজার বলে শূন্য রানে আউট হন অধিনায়ক রোস্টন চেজ।
এর আগে দ্বিতীয় সেশনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার জন ক্যাম্পবেল ১০ রানে আউট হন। জাদেজার বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে সাই সুদর্শনের এক অবিশ্বাস্য ক্যাচের শিকার হন তিনি।
দিনের নায়ক গিল তার দশম টেস্ট সেঞ্চুরিটি সাজিয়েছেন ১৬টি চার ও দুটি ছয়ের মারে। তিনি উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ধ্রুব জুরেলের (৪৪) সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ১০২ রানের জুটি গড়েন। এর আগে নিতিশ কুমার রেড্ডির (৪৩) সঙ্গেও ৯১ রানের জুটি গড়েছিলেন গিল।
উল্লেখ্য, দুই ম্যাচের এই সিরিজে প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জিতে ভারত এগিয়ে রয়েছে এবং সিরিজ জয়ের জন্য ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নেমেছে।