এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ফিরতি ম্যাচে স্বাগতিক হংকংয়ের মুখোমুখি হতে সেখানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে শুক্রবার গভীর রাতে হংকং পৌঁছায়। একদিনের বিশ্রাম শেষে শনিবার সন্ধ্যায় তাই পো স্পোর্টস গ্রাউন্ডে প্রায় দেড় ঘণ্টা অনুশীলন করেছে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
অনুশীলনটি মূলত কৌশলগত দিক বাদ দিয়ে খেলোয়াড়দের ক্লান্তি দূর করার (রিকভারি) ওপরই বেশি केंद्रित ছিল। কোচ হাভিয়ের কাবরেরার নেতৃত্বে এই সেশনে ঢাকার ম্যাচে খেলা মূল একাদশের খেলোয়াড়দের হালকা অনুশীলন করান সহকারী কোচ হাসান আল মামুন ও ডেভিড গোমেজ।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পাঠানো এক বার্তায় কোচ কাবরেরা জানিয়েছেন, গত ম্যাচে তার দল প্রথমার্ধে যে খেলা উপহার দিয়েছে, তা তার চার বছরের মেয়াদে অন্যতম সেরা। তবে শেষ মুহূর্তের কিছু ভুলের কারণে ম্যাচের ফল হাতছাড়া হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি। ফিরতি ম্যাচের আগে আশাবাদ ব্যক্ত করে কাবরেরা বলেন, খেলোয়াড়দের সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা এবং একই তীব্রতা ধরে রাখা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
কাবরেরা বলেন, “গত ম্যাচের প্রথমার্ধ সম্ভবত আমার চার বছরের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আমাদের খেলা সেরা ফুটবল ছিল। কিন্তু আমরা প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে একটি ভুল করে বসি। এখন মূল অগ্রাধিকার হলো পুরো দলকে সারিয়ে তোলা। আজ আমরা এখানকার পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে প্রথম সেশনটি করলাম এবং ১৪ তারিখের মধ্যে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাব।”
এদিকে, ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠা ডিফেন্ডার টপু বর্মণ জানিয়েছেন, দল ঘুরে দাঁড়াতে আগ্রহী। তিনি হংকংয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিপুল সমর্থনের আশা করছেন, যা দলকে বাড়তি অনুপ্রেরণা দেবে। টপু মনে করেন, ১৪ অক্টোবরের ম্যাচে ইতিবাচক খেলে ভালো ফল অর্জন করতে খেলোয়াড়রা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
টপু বলেন, “এখানে অনেক বাংলাদেশি প্রবাসী সমর্থক থাকবেন। এটা অবশ্যই দলকে বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাবে। বৃহস্পতিবারের ম্যাচের ফল আমাদের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের জন্য অপ্রত্যাশিত ও বেদনাদায়ক ছিল। কিন্তু এখন আমাদের সেটা ভুলে ১৪ অক্টোবরের ম্যাচের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। একটি ম্যাচ হারার পর পরেরটিতে জিতে ফিরতে পারলে সবকিছু বদলে যায়। আমরা সেই মানসিকতা নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং অবশ্যই আগামী ম্যাচে একটি ভালো ফল পেতে চাই।”