ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সমর্থকদের অতীত কর্মকাণ্ড ও অপরাধ আড়াল করে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই এখন তাদের নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব পলাশ। তিনি এই সুযোগসন্ধানী পদক্ষেপকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জন্য ‘বিব্রতকর’ বলেও উল্লেখ করেন।
শনিবার নগরীর আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত ‘নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
ডিআইজি পলাশ অভিযোগ করে বলেন, কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ যখন এ ধরনের ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে, তখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীরা সম্মিলিতভাবে আদালতে তাদের জামিন নিশ্চিত করতে এবং আইনি সহায়তা দিতে হাজির হন। তিনি বলেন, “এই বিষয়টি আমাদের জন্য একটি ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।”
নির্বাচনে অর্থের ক্রমবর্ধমান অপব্যবহারের বিষয়েও কথা বলেন ডিআইজি পলাশ। তিনি বলেন, অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী তাদের নির্বাচনী প্রচারণার তহবিল জোগাতে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছেন। তার পর্যবেক্ষণে, “অনেকের কাছে নির্বাচন এখন এক ধরনের বিনিয়োগ বা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। যেখানে একটি পদে আসীন হওয়াকে সম্পদ আহরণের সুযোগ হিসেবে দেখা হয়। এই মানসিকতা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে একটি বড় বাধা।”
আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে জনগণ বা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে প্রত্যাশিত সহযোগিতা না পাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। পলাশ বলেন, “এর ফলে পাল্টা কর্মসূচি, হুমকি, সংঘর্ষ এবং এমনকি হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনাও ঘটছে।”
পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন যে, দলগুলোর মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সতর্ক করে ডিআইজি বলেন, “কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও ভুল তথ্য ছড়িয়ে পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বানচাল করার চেষ্টা করছে।”