ঢাকায় শুক্রবার অনুষ্ঠিত এক ফটো প্রদর্শনীর সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাংলাদেশের দূতাবাসের প্রধান ও রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে ইইউ’র অটল অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “সারা বিশ্বে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি দেশ আইনগতভাবে বা বাস্তবে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছে। এটি প্রমাণ করে যে ন্যায় এবং মানব মর্যাদা প্রাধান্য পেতে পারে।”
প্রদর্শনীর সময় রাষ্ট্রদূত মিলার আরও বলেন, মৃত্যুদণ্ড অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর নয় এবং এটি ভুলভাবে নির্দোষ মানুষকে মৃত্যুদণ্ডের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
ঢাকায় ইইউ দূতাবাস, ফ্রান্স দূতাবাস এবং ড্রিক পিকচার লাইব্রেরি যৌথভাবে ‘লিভিং অন ডেথ রো: বাংলাদেশে একাকী দীর্ঘ কারাবাসে বন্দীদের এবং তাদের পরিবারের সংগ্রাম’ শীর্ষক এই প্রদর্শনী আয়োজন করেছে। এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশি তথ্যচিত্র ফটোগ্রাফার মোঃসফিকুর রহমান জোহান এর কাজের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডের মানবিক প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে।
প্রদর্শনীটি প্রমাণ করে কিভাবে ভুলভাবে দোষী সাব্যস্তকরণ এবং সীমিত ন্যায়িক সুবিধা বাংলাদেশের মানুষকে প্রভাবিত করছে। এটি ব্যক্তিগত এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার বিষয়ের আলোচনার সুযোগ তৈরি করছে।
ফ্রান্সের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জঁ-মার্ক সেরে-চারলেট উল্লেখ করেন, ফ্রান্স মৃত্যুদণ্ডের সার্বজনীন বিরোধী আন্দোলনের অগ্রগামী। তিনি বলেন, “ন্যায় জীবনের ক্ষতি করে না, বরং জীবনকে পুনর্নির্মাণ করে। আগামী জুলাই মাসে প্যারিসে ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অ্যাগেইনস্ট দ্য ডেথ পেনাল্টি’ অনুষ্ঠিত হবে।”
প্রদর্শনীর মাধ্যমে ইইউ বাংলাদেশের মানবাধিকার এবং ন্যায়িক সংস্কার সমর্থনে তাদের প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করছে। প্রদর্শনীতে মূলত ভুলভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়া মানুষের বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে, যা ন্যায়, সহানুভূতি এবং মৌলিক মানবাধিকার রক্ষায় ন্যায়িক ব্যবস্থার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা উন্মুক্ত করে।
প্রদর্শনী ১৯ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ড্রিক গ্যালারিতে দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে।
