Monday, November 10, 2025
Homeআন্তর্জাতিকযুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞায় ভারতীয় কোম্পানি ও নাগরিকরা লক্ষ্যবস্তু

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞায় ভারতীয় কোম্পানি ও নাগরিকরা লক্ষ্যবস্তু

ইরান থেকে তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল আমদানিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ কোম্পানি ও ৮ নাগরিকের ওপর ব্যবস্থা

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এতে ভারতের ৯টি কোম্পানি এবং ৮ জন নাগরিককে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, এই কোম্পানি ও ব্যক্তিরা ইরানি তেল, পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং পেট্রোকেমিক্যালের বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন।

এই পদক্ষেপে বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ প্রায় ৪০ জন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও জাহাজকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনে। একই সময়, ট্রেজারি বিভাগের অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (OFAC) ৬০ জন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও জাহাজকে ইরান থেকে তেল ও এলপিজি পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্তর্ভুক্ত করে। অন্যান্য দেশ থেকেও কিছু প্রতিষ্ঠান নিষেধাজ্ঞার তালিকায় এসেছে, যেমন চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত ভারতীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে মুম্বাই ভিত্তিক CJ Shah & Co, Chemovick, Mody Chem, Paarichem Resources, Indisol Marketing, Haresh Petrochem, Shiv Texchem এবং দিল্লি ভিত্তিক BK Sales Corporation। পররাষ্ট্র বিভাগ জানায়, এই প্রতিষ্ঠানগুলো সাম্প্রতিক কয়েক বছরে ইরানি পেট্রোকেমিক্যাল আমদানি করেছে, যার মূল্য শতকোটি ডলারের মধ্যে।

কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচজন ভারতীয় নাগরিকের নামও তালিকায় রয়েছে। তারা হলেন পিয়ূষ মাগনলাল জাভিয়া, নীতি উনমেশ ভট্ট, কমলা কাসাট, কুনাল কাসাট এবং পুনম কাসাট।

OFAC-এর নিষেধাজ্ঞায় আরও তিনজন ভারতীয় নাগরিক অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন—ভারুন পুলা, ইয়াপ্পান রাজা, সোনিয়া শ্রেষ্ঠা, যাদের অভিযোগ করা হয়েছে ইরানি এলপিজি পরিবহনে জড়িত থাকার জন্য। মুম্বাই ভিত্তিক শিপিং প্রতিষ্ঠান Vega Star Ship Management, যা OFAC অনুযায়ী সোনিয়া শ্রেষ্ঠার মালিকানাধীন, এবং কোমোরোস পতাকাবাহী Nepta জাহাজকেও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি সচিব স্কট বেসেন্ট বলেন, “আমরা ইরানের নগদ প্রবাহ কমাচ্ছি এবং দেশের জ্বালানি রপ্তানি নেটওয়ার্ক ধ্বংস করছি। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এই পদক্ষেপ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর তহবিলের পথ বন্ধ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিচ্ছে।”

ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপ ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ কৌশলের অংশ। গত কয়েক মাসে ইরানি তেল, পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল বাণিজ্যে জড়িত ব্যক্তিসহ প্রতিষ্ঠানগুলোকে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। জুলাই মাসের শেষেও ভারতীয় ৮টি কোম্পানি ও ৫ জন নাগরিককে একই কারণে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখা হয়েছিল।

RELATED NEWS

Latest News