ওয়াশিংটন তাদের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে ইরান থেকে বাংলাদেশে পাঠানো একাধিক তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) চালানকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তারা তেহরানের “জ্বালানি রপ্তানি নেটওয়ার্ক” এবং “সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর আর্থিক সহায়তা” ভেঙে দিতে চায়।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (OFAC) মোট ৫০ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে “গোপন উপায়ে বিলিয়ন ডলারের তেলজাত পণ্য রপ্তানির” অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে OFAC জানায়, গত বছর থেকে অন্তত চারটি বাণিজ্যিক লেনদেনের মাধ্যমে ইরানি এলপিজি বাংলাদেশে পৌঁছায়।
এর মধ্যে লাইবেরিয়া ভিত্তিক শিপিং কোম্পানি Titan Seaways Ltd-এর মালিকানাধীন গাম্বিয়া পতাকাবাহী জাহাজ GAS ZEINA ২০২৪ সাল থেকে ইরানি উৎপত্তির এলপিজি বাংলাদেশে পরিবহন করছে বলে উল্লেখ করা হয়।
OFAC আরও জানায়, গত বছরের শেষ দিকে ADA নামের কোমোরোস পতাকাবাহী একটি জাহাজের মাধ্যমেও বাংলাদেশে ইরানি এলপিজি সরবরাহ করা হয়। ওই জাহাজটি পূর্বে CAPTAIN NIKOLAS নামে চলাচল করত।
অন্যদিকে, ২০২৪ ও ২০২৫ সালে Slogal নামের একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান ইরানি এলপিজি কিনে শ্রীলঙ্কায় সরবরাহ করে, যার একটি অংশ শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশেও পৌঁছায়।
এছাড়া ২০২৫ সালের শুরুর দিকে Octane Energy FZCO নামের একটি সরবরাহকারী সংস্থা পানামা পতাকাবাহী GAS DIOR জাহাজে ১৭ হাজার টন ইরানি এলপিজি বাংলাদেশে পাঠায় বলে জানায় OFAC।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এসব পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরানের তেল রপ্তানির আড়ালে গড়ে ওঠা অবৈধ আর্থিক প্রবাহ বন্ধ করা। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।