Monday, November 10, 2025
Homeআন্তর্জাতিকযুক্তরাষ্ট্রের টেনেসিতে সামরিক বিস্ফোরক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ও নিখোঁজ অনেকে

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসিতে সামরিক বিস্ফোরক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ও নিখোঁজ অনেকে

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বিস্ফোরণের কারণ এখনো অজানা, তদন্ত শুরু হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের একটি সামরিক বিস্ফোরক তৈরির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কয়েকজন নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি ও এপি জানিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে টেনেসির গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত Accurate Energetic Systems নামের একটি প্রতিষ্ঠানে। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, তারা আটটি ভবনজুড়ে বিস্তৃত কারখানায় বিস্ফোরক তৈরি ও পরীক্ষার কাজ করে। এলাকা বক্সনোর্ট শহরের কাছাকাছি, যা ন্যাশভিল থেকে প্রায় ৯৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।

হামফ্রিস কাউন্টির শেরিফ ক্রিস ডেভিস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “কয়েকজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। আমরা পরিবারের বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করছি। কিছু মৃত্যুর খবরও নিশ্চিত হয়েছে।”

বিস্ফোরণের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ডেভিস বলেন, তদন্ত সম্পূর্ণ করতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।

স্থানীয় টিভি চ্যানেল WTVF-TV প্রকাশিত আকাশ থেকে তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিস্ফোরণে পাহাড়ের উপরের একটি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে শুধু ধোঁয়ায় মোড়া ধ্বংসাবশেষ ও পুড়ে যাওয়া যানবাহনের অবশিষ্টাংশ দেখা গেছে।

শেরিফ আরও জানান, বড় ধরনের বিস্ফোরণের ঝুঁকি এখন নেই, তবে ছোট ছোট বিস্ফোরণ শোনা যেতে পারে।

জরুরি সেবাকর্মীরা প্রথম দিকে স্থাপনাটিতে প্রবেশ করতে পারেননি, কারণ তখনও মাঝে মাঝে বিস্ফোরণ হচ্ছিল। হিকম্যান কাউন্টির জরুরি মেডিকেল টেকনিশিয়ান ডেভিড স্টুয়ার্ট জানান, তিনি এখনো হতাহতদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাননি।

মিউইন শহরের মেয়র ব্র্যাড র‌্যাচফোর্ড বলেন, “এটি আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য এক গভীর ট্র্যাজেডি।” তিনি আরও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।

বাসিন্দারা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ মাইল দূর থেকেও শোনা গেছে। অনেকে তাঁদের বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই শব্দ রেকর্ড করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা জেন্ট্রি স্টোভার বলেন, “আমি ঘুম থেকে হঠাৎ জেগে উঠলাম। মনে হলো ঘর ভেঙে পড়েছে। আমি খুব কাছে থাকি, তাই কিছুক্ষণের মধ্যেই বুঝতে পারি এটি কারখানার দিক থেকেই এসেছে।”

RELATED NEWS

Latest News