তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নিশ্চিত করেছেন, অস্থায়ী সরকার কোনো মিডিয়া প্রতিষ্ঠান বন্ধ করবে না। সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলের স্বাধীনতা বজায় রাখতে সরকারের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ে টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সমিতি (এটিসিও) সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, গত ১৫ বছরে টেলিভিশন চ্যানেল অনুমোদন প্রায়শই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “গত দেড় দশকে টিভি চ্যানেলগুলো রাজনৈতিকভাবে অনুমোদিত হয়েছে, যা স্পষ্ট পক্ষপাত দেখিয়েছে। অস্থায়ী সরকারের নীতি পরিষ্কার—কোনো মিডিয়া প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে না।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার সকল দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাইছে, এমনকি যারা স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “আমরা চাই একাধিক কণ্ঠস্বর শোনা যাক। কোনো মিডিয়া বন্ধ না হওয়ায়, গণতন্ত্র সমর্থক এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী মিডিয়াগুলোকেও স্থান থাকবে।”
সরকারের তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার তুলে ধরে মাহফুজ আলম জানান, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন নির্বাচনের আগে সম্পন্ন করা সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার। তিনি বলেন, “আমরা মিডিয়া কমিশন এবং সাংবাদিক সুরক্ষা আইন সব অংশগ্রহণকারীর পরামর্শের ভিত্তিতে তৈরি করতে চাই। নির্বাচনের আগে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।”
মিডিয়া মালিকদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, সরকার থেকে সুবিধা ও কর সুবিধা নেওয়া মিডিয়া মালিকরা তাদের কর্মীদেরও সেই সুবিধা দিতে বাধ্য। তিনি বলেন, “যারা সরকারি সুবিধা এবং কর সুবিধা ভোগ করছেন, তাদের অবশ্যই কর্মীদের জন্যও একই রকম কল্যাণমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।”
মাহফুজ আলম পুনর্ব্যক্ত করেন, অস্থায়ী সরকারের লক্ষ্য হলো দায়িত্বশীল, স্বাধীন ও বৈচিত্র্যময় সাংবাদিকতা প্রচার করা, যেখানে কোনো কণ্ঠস্বর নীরব নয় এবং প্রতিটি নাগরিক তথ্যের স্বাধীন প্রবাহে পৌঁছাতে সক্ষম।
