ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ইউক্রেন সফরে গিয়ে কিয়েভকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, সদস্যপদ পেতে দেশটির আরও কাজ বাকি আছে। একই সঙ্গে তারা হাঙ্গেরির আপত্তি কাটিয়ে ইউক্রেনের ইইউ অন্তর্ভুক্তি নিয়ে অগ্রসর হওয়ার পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
ইইউতে যোগ দিতে হলে ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের সম্মতি প্রয়োজন। কিন্তু হাঙ্গেরি বর্তমানে এই প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপে যেতে বাধা দিচ্ছে। দেশটি দাবি করছে, ইউক্রেনে বসবাসরত জাতিগত হাঙ্গেরিয়ানদের ভাষাগত অধিকারের বিষয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
ইইউ কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেন ইতিমধ্যে সংস্কার ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে কিছু অগ্রগতি করেছে, তবে আইনের শাসন, দুর্নীতি দমন ও সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে আরও পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনের জন্য সদস্যপদ লাভ শুধু রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাগত দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। তবে হাঙ্গেরির অবস্থান এবং চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এই প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলেছে।
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ইউরোপীয় কমিশন ডিসেম্বর মাসে ইউক্রেনের অগ্রগতির বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। সেই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই সদস্য দেশগুলো পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
