ঢাকা, ২৭ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে তার আগে স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা জরুরি। দলটির নেতা মুফতি রেজুয়াল করিম বলেছেন, স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাব কমে যাবে এবং জনপ্রতিনিধিত্বমূলক একটি কাঠামো গড়ে উঠবে, যা জাতীয় নির্বাচনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা চাই জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো দৃশ্যমানভাবে সম্পন্ন হোক। কালো টাকা, পেশিশক্তি ও গুম-খুনের সংস্কৃতি থেকে সরে এসে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।”
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নেতা ও আলোচিত বক্তা সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, “জুনের একদিন পরেও এই সরকার থাকবে না, এমনটাই আশ্বস্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে সুশাসনের পরিবেশ গড়ে তোলার এটাই উপযুক্ত সময়।”
তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, যারা রাজপথে আন্দোলন করেছে, যারা ত্যাগ স্বীকার করেছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই যেকোনো স্পর্শকাতর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। যেন আবারও কোনো অন্ধকার কালো অধ্যায় ফিরে না আসে।”
আলোচনায় উঠে আসে ২৪ আগস্টের রাজনৈতিক অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ, যেখানে বিভিন্ন দলের অংশগ্রহণ ছিল। সেই ঐক্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ তৈরি করতে দলটি সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।
নেতারা বলেন, “যারা আমাদের মায়ের কোল খালি করেছে, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পঙ্গু করেছে, সেই গুম-খুন ও নিপীড়নের দায়ীদের বিচার দৃশ্যমান হতে হবে। তবেই জনগণের আস্থা ফিরবে, এবং একটি প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক নির্বাচন সম্ভব হবে।”
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী নেতারা আশা প্রকাশ করেন, সরকারের সব সিদ্ধান্ত যেন বিতর্ক এড়িয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনার মাধ্যমে হয় এবং প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে ইসলামী আন্দোলন নেতারা জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকায় আস্থা রাখা যাচ্ছে এবং দেশের স্বার্থে সকলে যেন একযোগে কাজ করে, সেটিই এখন সময়ের দাবি। আগামী নির্বাচন যেন আরেকটি বিতর্কিত অধ্যায় না হয়ে ওঠে, সেজন্য পূর্বপ্রস্তুতির অংশ হিসেবে স্থানীয় নির্বাচন, প্রশাসনিক সংস্কার ও ন্যায়বিচারের দাবি তোলেন তারা।