সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক কিছুটা কমেছে।
ডিএসইতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মূল্য নেমে যাওয়ায় প্রধান সব সূচকই হ্রাস পেয়েছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ বাড়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অনেক কোম্পানির শেয়ার মূল্য কমলেও প্রধান সূচক ও লেনদেন উভয়ই বৃদ্ধি পেয়েছে।
সোমবারের সেশনের শুরুতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার মূল্য বেড়ে সূচক প্রারম্ভে ঊর্ধ্বমুখী ছিল। প্রথম ঘণ্টার মধ্যে ডিএসই-এর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৮ পয়েন্ট বেড়েছিল। তবে বাজারের মনোভাব শীঘ্রই পরিবর্তিত হয় এবং অনেক কোম্পানি লাভের তালিকা থেকে লোকসান তালিকায় চলে যায়।
লেনদেনের শেষ পর্যন্ত ডিএসইতে ৯৬ কোম্পানির শেয়ার মূল্য বেড়েছে, ২৫৫ কোম্পানির মূল্য কমেছে এবং ৪৪ কোম্পানির মূল্য অপরিবর্তিত থাকে। এর ফলে ডিএসই-এর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫,৪২৩ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ২৩ পয়েন্ট কম। ডিএসই-৩০ সূচক ২,০৮৮ পয়েন্টে ৩ পয়েন্ট কমেছে, ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১,১৭১ পয়েন্টে ২ পয়েন্ট কমেছে।
মূল সূচক পতনের পরও লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩৬ কোটি টাকা হয়েছে, আগের সেশনের ৬১৯ কোটি টাকার তুলনায় ১১৮ কোটি টাকা বেশি। সর্বোচ্চ লেনদেনের শেয়ার ছিল রবি (২৬.৯৩ কোটি টাকা), এরপর সোনালী পেপার (২৩.২ কোটি) এবং রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স (২২.৬৮ কোটি)।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে, সিএসসিএক্স সূচক ১.৭৯ পয়েন্ট বেড়ে ৯,৩২৪ পয়েন্টে, ক্যাস্পি ১০.৮৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫,১৯০ পয়েন্টে, শরীয়াহ সূচক ৪.০২ পয়েন্ট বেড়ে ৯৬৩ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ৩.৪৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৩,১৯৪ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে।