রাশিয়ার সীমান্তবর্তী বেলগোরদ অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটেছে। রাশিয়ার দাবি, এটি ইউক্রেনের অন্যতম বৃহৎ ড্রোন হামলা।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক রাতেই তারা ২৫১টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভিযান শুরুর পর থেকে অন্যতম বড় প্রতিরোধ অভিযান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বেলগোরদ অঞ্চলের গভর্নর ভিয়াচেস্লাভ গ্লাদকভ জানিয়েছেন, হামলার কারণে ২৪টি এলাকায় আংশিক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটেছে, এতে প্রায় ৫ হাজার ৪০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
দক্ষিণাঞ্চলের ক্রাসনোদার অঞ্চলে একটি তেল শোধনাগারেও হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সেখানে দুইজন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে ইউক্রেন জানিয়েছে, রাশিয়া তাদের ভূখণ্ডে ১১৬টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। এসব হামলায় চেরনিহিভ অঞ্চলের একটি জ্বালানি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং খেরসন অঞ্চলে এক নারী নিহত হয়েছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেন, রাশিয়া আবারও তাদের বিদ্যুৎ অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করছে। আগের শীতের মতো এবারও এই হামলাগুলো দেশটিকে তীব্র ঠান্ডায় বিদ্যুৎ ও গরমবিহীন অবস্থায় ফেলতে পারে।
ইউক্রেনের পাল্টা হামলায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়ার কিছু অঞ্চলে জ্বালানি ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং তেলের দাম বেড়েছে। কিয়েভের লক্ষ্য রাশিয়ার তেল রাজস্ব কমিয়ে মস্কোর যুদ্ধ তহবিলে চাপ সৃষ্টি করা।
দুই দেশের এই পাল্টাপাল্টি হামলা যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে বলে পর্যবেক্ষকদের মত।