গাজা গামী ত্রাণ বহরে অংশ নেওয়া ১৬টি ইউরোপীয় দেশের ১৬১ নাগরিককে ইসরায়েল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার তারা একটি বিশেষ বিমানে করে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে পৌঁছান।
গ্রিসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘গ্লোবাল সমুদ ফ্লোটিলা’ নামে পরিচিত এই অভিযানে অংশ নেওয়া ২৭ জন গ্রিক নাগরিকসহ মোট ১৬১ জন ইউরোপীয় নাগরিক নিরাপদে দেশে ফিরেছেন।
ইসরায়েল সোমবার আরও কয়েকজন ত্রাণকর্মীকে দেশ থেকে বহিষ্কার করে, যাদের মধ্যে ছিলেন সুইডেনের জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।
৪৫টি জাহাজ নিয়ে গঠিত এই বহরটি গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। জাতিসংঘ বলেছে, দুই বছরের সংঘাতের পর গাজায় বর্তমানে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।
গ্রিসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, “একটি বিশেষ পুনর্বাসন ফ্লাইটে ২৭ জন গ্রিক নাগরিক এবং আরও ১৫টি ইউরোপীয় দেশের ১৩৪ জন নাগরিক নিরাপদে এথেন্সে পৌঁছেছেন।”
সুইডেনের গ্লোবাল মুভমেন্ট ফর গাজা সংগঠন জানিয়েছে, তাদের সদস্যরাও ওই বিমানে ছিলেন।
এথেন্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর কয়েকজন কর্মী বিশাল একটি ফিলিস্তিনি পতাকা উড়িয়ে “ফ্রিডম ফর প্যালেস্টাইন” এবং “লং লিভ দ্য ফ্লোটিলা” স্লোগান দেন।
‘গ্লোবাল সমুদ ফ্লোটিলা’ সেপ্টেম্বরের শুরুতে স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। অক্টোবরের ১ থেকে ৩ তারিখের মধ্যে মিশর ও গাজা উপকূলে ইসরায়েলি নৌবাহিনী বহরটির জাহাজগুলোতে অভিযান চালায়।
ইসরায়েল দাবি করেছে, এই বহর হামাসের সহযোগী সংগঠন হিসেবে কাজ করছিল এবং নিষিদ্ধ সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করেছে। তারা আরও জানায়, জাহাজগুলোতে কোনো মানবিক সহায়তা পাওয়া যায়নি।
নৌবাহিনী বহরটির সব জাহাজকে বাধ্যতামূলকভাবে আশদোদ বন্দরে নিয়ে যায়। ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, জাহাজগুলো থেকে প্রায় ৪৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রথম বহিষ্কার কার্যক্রম শুরু হয় ২ অক্টোবর। এখনও ইসরায়েলে ১৩৮ জন অংশগ্রহণকারী আটক রয়েছেন বলে জানিয়েছে গ্রিসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গাজা অবরোধ ভাঙতে ইউরোপীয় কর্মীদের এই প্রচেষ্টা আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।