গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রবিবারের এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। একই দিনে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে খাদ্যের অভাবে, যা মানবিক সংকটের ভয়াবহতা আরও স্পষ্ট করছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান যুদ্ধের পর এ পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ১৩৯ জনে এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন। গাজার বিভিন্ন স্থানে এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজারো মানুষের মরদেহ চাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বিশ্বের বিভিন্ন শহরে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সাহায্যের দাবিতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম, তুরস্কের ইস্তাম্বুলসহ ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি শহরে রাস্তায় নেমেছেন হাজারো মানুষ। তারা গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ ও আটক সহায়তাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সামগ্রীর প্রবেশ বাধাগ্রস্ত করছে, যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। মানবিক সংস্থাগুলো বলছে, গাজার বেশিরভাগ এলাকা এখন “বাসের অযোগ্য” হয়ে পড়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করা হয়। এর পর থেকেই গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল, যা এখনো চলছে।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও সংঘাত থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। গাজার মানুষের জীবন ও বেঁচে থাকার সংগ্রাম দিন দিন আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।