ঢাকা বিভাগের বিএনপি জয়েন্ট অর্গানাইজিং সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম আজাদকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তাঁর ব্যবহৃত বিলাসবহুল গাড়ি সম্পর্কিত। অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি যে গাড়িগুলো চালান সেগুলোর কোনোটিই তাঁর নিজের নামে নিবন্ধিত নয়।
সোমবার ফেসবুকে প্রকাশিত এক পোস্টে অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সার উল্লেখ করেছেন, আজাদ নিয়মিতভাবে ল্যান্ড রোভার এবং মার্সেডিজ-বেঞ্জের মতো বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করেন। পোস্টে সংযুক্ত ছবিতে দেখা যায়, অন্তত তিনটি গাড়িতে সঠিক নিবন্ধন নেই এবং সেগুলো শোরুম বা গ্যারেজের প্লেট ব্যবহার করছে। এটি সড়ক পরিবহন বিধিমালা লঙ্ঘনের সূচক।
একটি ল্যান্ড রোভার ডিফেন্ডার জামুনা ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড অটোমোবাইলসের নামে নিবন্ধিত, আর একটি ল্যান্ড রোভার রেঞ্জ রোভার সাইফ পোর্ট হোল্ডিংসের নামে, যা বিতর্কিত সাইফ পাওয়ার গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া, মার্সেডিজ জি-ওয়াগন কিমা ট্রেডিং ও সরকারি দলের সংসদ সদস্য জাস্টিস মোঃ মোজাম্মেল হকের নামে নিবন্ধিত।
এ ঘটনায় সমালোচকেরা প্রশ্ন তুলেছেন, যিনি সাধারণ নাগরিকের প্রতিনিধি হওয়ার দাবি করেন, কীভাবে তিনি নিয়মিত কোটি টাকার মালিকানাধীন গাড়ি ব্যবহার করছেন, যা শক্তিশালী ব্যবসায়ী গ্রুপ এবং ব্যক্তিদের মালিকানায়। রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কের অন্ধকার সম্পর্ক ও সম্পদের উৎস নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে।
ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। একজন লিখেছেন, “ভাইকে ধন্যবাদ। এমন দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। যে দলেরই হোক না কেন, কেউ যদি দুর্নীতিগ্রস্ত, তার কোনো ছাড় হওয়া উচিত নয়।”
নজরুল ইসলাম আজাদকে এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
