কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গাস্টাভো পেট্রো শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের তার ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্তকে নাকচ করেছেন এবং এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। পেট্রো তার সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলের গাজায় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে।
যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার ঘোষণা করে পেট্রোর ভিসা বাতিল করা হবে। এ খবরের আগে পেট্রো নিউ ইয়র্কের রাস্তায় ফিলিস্তিনপন্থী সমাবেশে যোগ দেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ অমান্য করতে আহ্বান জানান।
পেট্রো সামাজিক মাধ্যমে বলেন, “আমার আর যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য ভিসা নেই। আমি তা নিয়ে ভাবি না। আমি শুধু কলম্বিয়ার নাগরিক নই, আমি ইউরোপীয় নাগরিকও এবং নিজেকে সত্যিকারভাবে বিশ্বের একজন স্বাধীন ব্যক্তি মনে করি।”
তিনি আরও বলেন, “জাতিগত হত্যার সমালোচনা করার কারণে ভিসা বাতিল করা হয়েছে, যা দেখায় যে যুক্তরাষ্ট্র আর আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করছে না।”
ইসরায়েল বারবার গাজায় তাদের কর্মকাণ্ডকে আত্মরক্ষার ব্যবস্থা বলে জানিয়েছে এবং জাতিগত হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পেট্রো জাতিসংঘ সদর দফতরের বাইরে সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় একটি বৈশ্বিক সশস্ত্র বাহিনী গঠনের আহ্বান জানান, যার প্রধান লক্ষ্য ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “এই বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী থেকেও বড় হতে হবে।”
পেট্রো প্রথম কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট নন যাঁর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে প্রেসিডেন্ট এরনেস্তো সামপেরের ভিসা বাতিল করা হয়েছিল কালি ড্রাগ কার্টেলের নির্বাচনী তহবলের সঙ্গে সম্পর্কিত রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি নিয়ে।
ট্রাম্পের প্রশাসনের সময় থেকে বোগোটা ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক ক্রমেই উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ বছর পেট্রো যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডেপোর্টেশন ফ্লাইট ব্লক করেন, যা শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার হুমকির কারণ হয়। পরে উভয় দেশ সমঝোতায় পৌঁছায়।
জুলাই মাসে দুই দেশের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করা হয়, যখন পেট্রো যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের একটি অভ্যুত্থান পরিকল্পনার অভিযোগ করেন, যা যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করে।
পেট্রো ২০২৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং দেশটিতে কলম্বিয়ার কয়লা রপ্তানি নিষিদ্ধ করেন।
