Sunday, September 28, 2025
Homeআন্তর্জাতিকইরানে জাতিসংঘের জোরদার নিষেধাজ্ঞা ফেরাতে যাচ্ছে, চীন-রাশিয়ার শেষ চেষ্টা ব্যর্থ

ইরানে জাতিসংঘের জোরদার নিষেধাজ্ঞা ফেরাতে যাচ্ছে, চীন-রাশিয়ার শেষ চেষ্টা ব্যর্থ

ইউরোপীয় দেশগুলো ইরানকে তাপর সীমিত সময়ে পরমাণু আলোচনায় যোগ দিতে চাপ দিচ্ছে

ইরানের ওপর জাতিসংঘের ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা ফেরানো হতে পারে বলে কূটনীতিকরা জানিয়েছেন। চীন ও রাশিয়ার শুক্রবার শেষ মুহূর্তের প্রচেষ্টা, যা আরও আলোচনার জন্য সময় চেয়েছিল, ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

ইউরোপীয় শক্তিগুলো ইরানকে অনুরোধ করেছে যে, জুনে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক স্থাপনা হামলার পর নেওয়া পদক্ষেপগুলো বাতিল করতে হবে। ইউরোপীয় দেশগুলো অভিযোগ করেছে যে, ইরান একটি উল্লেখযোগ্য কিন্তু কার্যহীন চুক্তি মেনে চলেনি। এর ফলে ব্যাংকিং ও তেলের খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে এবং শনিবারের শেষে তা কার্যকর হবে।

চীন ও রাশিয়া নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে একটি খসড়া প্রস্তাব দিয়েছিল, যা আলোচনার জন্য আরও ছয় মাস বা ২০২৬ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিতে চাইছিল। কূটনীতিকরা বলছেন যে, এই প্রস্তাবটি ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের নয়টি ভোট পাবে না।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ বুধবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করে বলেন যে, একটি চুক্তি সম্ভব, তবে ইরানের কাছে মাত্র কয়েক ঘণ্টার সময় বাকি আছে।

ইরানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ভেট কুপারের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং তিন ইউরোপীয় দেশের অবস্থানকে “অন্যায্য, অবৈধ ও দায়িত্বহীন” হিসেবে সমালোচনা করেন।

২০১৫ সালের চুক্তি অনুযায়ী, ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল, যা ইরানের পারমাণবিক কাজের ব্যাপক পরিমাণে সীমিতকরণের শর্তে করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসে একপাক্ষিক কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

ইরান দীর্ঘদিন ধরে বলছে যে তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এখনও এ সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি যে, ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা। তবে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো দেশের উন্নত পারমাণবিক কর্মকাণ্ডের কারণে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছে।

জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে ভাষণ দেওয়ার সময় পেজেশকিয়ান জুনের ১২ দিনের ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে নিহত মানুষের ছবি দেখান। ইরান বলেছে যে এই অভিযানে ১,০০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও জুন ২২ তারিখে ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক স্থাপনার ওপর হামলা চালায়।

RELATED NEWS

Latest News