ফিলিপাইনের কেন্দ্র ও দক্ষিণ লুসনে আঘাত হানা ট্রপিক্যাল স্টর্ম বুয়ালয়ীর ধাক্কায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশের উত্তর অংশ এখনও সুপার টাইফুন রাগাসার প্রভাব থেকে সেরে উঠার চেষ্টা করছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, বুয়ালয়ী পৌঁছানোর আগে মেট্রো ম্যানিলাসহ অনেক অঞ্চলে কাজ ও স্কুল বন্ধ রাখা হয়। সুপার টাইফুন রাগাসা কয়েক দিন আগে উত্তরের ফিলিপাইনে প্রায় ১৪ জনের মৃত্যু ঘটিয়েছিল এবং তাইওয়ানে আরও ১৫ জন মারা গিয়েছিল।
বুয়ালয়ী পূর্ব স্যামারে ল্যান্ডফল করেছে এবং তারপর মাসবেটে প্রবেশ করে বিকল অঞ্চলের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ লুসনে ছড়িয়েছে। দুর্যোগ কর্মকর্তারা জানান, মাসবেটে তিনজন নিহত হয়েছে। একজন গাছ পড়ে মারা গেছে, একজন ডুবে গেছে এবং একজন দেওয়াল ধসে মারা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ফিলিপাইনে বন্যা ও ঝড়ের কারণে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। মাসবেটের গভর্নর অ্যান্টোনিও খো জরুরি সহায়তার আহ্বান জানান। তিনি বলেছিলেন, ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করা, বিদ্যুৎ পুনঃস্থাপন করা এবং বন্দরে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করা জরুরি।
দক্ষিণ লুসনের অন্যান্য অংশে ভারী বৃষ্টি, তীব্র বাতাস, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা এবং ফসল ও অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি দেখা গেছে।
ঝড় বুয়ালয়ী স্থানীয়ভাবে ‘ওপং’ নামে পরিচিত। ঝড়ের সর্বাধিক বায়ু গতিবেগ ১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা এবং ঝড়ের তীব্র গতি ১৩৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা। এটি ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার টাইফুনে রূপ নিতে পারে।
ভিয়েতনামের সরকার জানিয়েছে, ঝড় দেশের উত্তর ও মধ্য উপকূলে সোমবার আঘাত হানবে এবং ২৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি বয়ে আনবে। দেশের জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, নিম্নভূমি, নগর এবং শিল্পাঞ্চলে বন্যার ঝুঁকি রয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত ১৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।