বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সফরের সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে এই হামলাকে “স্বৈরতন্ত্রের মিত্রদের ন্যাক্কারজনক আক্রমণ” বলে আখ্যা দেন।
প্রিন্স বলেন, এ ঘটনায় সরকারের পাশাপাশি সফর আয়োজকদেরও অবহেলা এবং সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টারা ভিভিআইপি প্রোটোকল পেলেও বিএনপির মহাসচিবকে যথাযথ ভিআইপি মর্যাদা দেওয়া হয়নি। একজন সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য হিসেবে ফখরুলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে যথাযথ সম্মান ও নিরাপত্তা না দেওয়া পুরো দলকেই অসম্মান করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে প্রিন্স আরও দাবি করেন, এ হামলার পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল। তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ দূতাবাসের কিছু কর্মকর্তা তথ্য ফাঁস করেছিলেন, যা হামলাকারীদের বিএনপি নেতাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে সাহায্য করেছে। তিনি দায়ীদের বিরুদ্ধে জবাবদিহি দাবি করেন।
বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা দলীয়ভাবে নির্ধারণ করা হবে জানিয়ে প্রিন্স ব্যক্তিগতভাবে মত দেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। একই সঙ্গে স্থানীয় আয়োজকদেরও ব্যাখ্যা দিতে হবে।
তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জনগণের শত্রু, গণহত্যাকারী ও তাদের সহযোগীদের কোনো ক্ষমা নেই।”
উল্লেখ্য, সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক পৌঁছান। তাঁর সফরসঙ্গীদের মধ্যে বিএনপি, এনসিপি ও জামায়াতের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন।