রাজধানীতে চলমান ডেঙ্গু সংকটের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সোমবার “ডেঙ্গু ড্যাশবোর্ড” উদ্বোধন করেছে। তথ্য-ভিত্তিক এই টুল শহরের ডিএনসিসি অডিটোরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়।
ডিএনসিসির ইনোভেশন ল্যাব এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তায় তৈরি এ ড্যাশবোর্ডটি রোগ পর্যবেক্ষণ, ঝুঁকি মূল্যায়ন ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করবে। পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধিতেও এটি ভূমিকা রাখবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ আজাজ বলেন, “ডেঙ্গু ওয়াচ শুধু একটি টুল নয়। এটি ডিএনসিসিকে ডিজিটাল, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের একটি ধাপ। স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সুশাসনের মধ্যে সমন্বয় করে স্মার্ট ও সুস্থ ঢাকা গড়তে এ ধরনের উদ্ভাবন অপরিহার্য।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশাদুজ জামান। তিনি বলেন, “ডেটা-নির্ভর সিদ্ধান্তই নগর শাসনে পরিবর্তন আনতে পারে। ডেঙ্গু ওয়াচ উদ্যোগ এ বিষয়টি প্রমাণ করেছে।”
বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার জানান, “ডিএনসিসি-ইউএনডিপি যৌথ ইনোভেশন ল্যাব ইতোমধ্যে নগর স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় উদ্ভাবনী সমাধানের কেন্দ্র হয়ে উঠছে। ডেঙ্গু ড্যাশবোর্ড তার সর্বশেষ উদাহরণ।”
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরু-আল-কোয়েস বলেন, নাগরিক সুরক্ষায় উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণ এখন জরুরি।
অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইসিডিডিআরবি ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে প্যানেল আলোচনায় তুলে ধরা হয়, পূর্বাভাস বিশ্লেষণ, ঝুঁকি মানচিত্র ও তথ্য একীভূতকরণ কিভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত পদক্ষেপ জোরদার করতে পারে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন, উন্নয়ন সহযোগী ও স্টার্টআপ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন এ আয়োজনে। অংশগ্রহণকারীরা মত দেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় রিয়েল-টাইম ডেটা, শক্তিশালী অংশীদারিত্ব এবং দীর্ঘমেয়াদি ভিশন অপরিহার্য।
ডেঙ্গু ওয়াচ ড্যাশবোর্ড ডিএনসিসির তথ্যভিত্তিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে জলবায়ু-সংবেদনশীল রোগ প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখবে।


